শুরু হতে চলেছে ভারতীয় ফুটবলের ঘরোয়া ফুটবল মরশুম। আইএসএল আসার পর আই লিগের রমরমা অনেকটাই কমেছে। ভারতের অনেক প্রধান দলগুলি আই লিগ খেলে না। কারণ এই মুহূর্তে দেশের প্রধান লিগ আইএসএল। তবে জাতীয় পর্যায়ে আই লিগের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল সংস্থা। তাদের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩-২৪ বর্ষে ১৩টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে। মোট ১৫৬টি ম্যাচ খেলা হবে এইবারের আই লিগে। হোম এবং অ্যাওয়ে এবং ডাবল রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলা হবে এইবারের জাতীয় লিগ। ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া পূরণের শর্ত অনুযায়ী, প্রতিটি ক্লাব ২৪টি করে ম্যাচ খেলবে। অল ইন্ডিয়া ফুটꩲবল ফেডারেশনের লিগ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আই লিগ আগের মতো জাঁকজমক না থাকলেও এই টুর্নামেন্ট দলগুলির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আইলিগ চ্যাম্পিয়নরা সরাসরি আইএসএলে খেলার ছাড়পত্র পায়। তবে এক্ষেত্রে একটি নিয়ম রয়েছে। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবটিকে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হয়। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবেই তারা আইএসএলে খেলতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী যে দল এই বছর আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হবে তারা পরের বছর আইএসএল খেলতে পারবে। গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন পঞ্জাব এফসি ইতিমধ্যেই আইএসএলে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে এই বছর ২০২২♒-২৩ মরশুমে দ্বিতীয় ডিভিশনের শীর্ষ দুই দল দিল্লি এফসি এবং শিলং লাজং এফসি আইলিগ খেলবে। তারা মুম্বই কেনক্রে এফসি এবং ꧃সুদেভা দিল্লি এফসিকে সরিয়ে এই জায়গা করে নিয়েছে। ইন্টার কাশী এবং নামধারী এফসি কর্পোরেট এন্ট্রি হিসাবে আই-লিগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
কমিটির চেয়ারপারসন লালনহিঙ্গলোভা হামার বলেন, 'আগে আমাদ꧅ের একটি সঠিক লিগ কাঠামো ছিল না। এখন তার পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন, আইএসএল, আই লিগ, দ্বিতীয় ডিভিশন এবং তৃতীয় ডিভিশন একটি শক্তিশালী লিগ কাঠামো তৈরি হয়েছে।' কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'প্রতিটি ক্লাব নিজেদের দলের পাঁচজন করে বিদেশে ফুটবলার রাখতে পারবে। সর্বাধিক তিনজন বিদেশি ফুটবলারকে একসঙ্গে একটি ম্যাচে খেলানো যাবে। নবগঠিত তৃতীয় ডিভিশন লিগের জন্য, নয়টি রাজ্য দল মনোনীত হয়েছে। সেগুলো হল ছত্তিশগড়, দিল্লি, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্র।
অন্যদিকে এআইএফএফ রেফারি কমিটিও ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠ𒉰ক করেছে। রাজ্য স্তরে রেফারিদের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছ তারা। এর ফলে মনে করা হচ্ছে আরও বেশি গুণগতমান সম্পন্ন রেফারিদের জাতীয় স্তরে পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের মহাসচিব ডঃ শাজি প্রভাকরণ বলেন, 'আমাদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে যাতে রেফারিং একটি আকর্ষণীয় এবং উৎসাহজনক কেরিয়ারের সুযোগ হয়ে ওঠে। আমাদের আরও উচ্চ-মানের রেফারি এবং আরও বেশি মহিলা রেফারি দরকার। যারা দৃঢ়তার সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবে। সামনে অনেক কাজ আছে। আমরা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রেফারিং কমিটির সাফল্য কামনা করি।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।