কোচ বদলে, প্লেয়ার বদলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। প্রতিটা মরশুমেই ইস্টবেঙ্গলের খারাপ পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত। ব্যতিক্রম নয় ২০২৪-২৫ আইএসএলও। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে হেরে ইতিমধ্যে সুপার সিক্সের আশা শেষ লাল-হলুদের। শেষ পাঁচ ম্যাচ শুধুই নিজেদের মান রক্ষার। এটা মানছেন দলের কোচ অস্কার ব্রুজোও।
এই মুহূর্তে ১৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের ১১ নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। খুব বেশি হলে তারা হয়তো পয়েন্ট টেবলের আর কয়েক ধাপ উপরে উঠে আসতে পারে। এই অবস্থায় রবিবার মিনি ডার্বি খেলতে নামবে ব্রুজোর দল। প্রতিপক্ষ মহমেডানের হালও তথৈবচ। তারা সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১১ পয়েন꧙্ট নিয়ে লিগ টেবল𒉰ের লাস্টবয়। শেষ তিন ম্যাচ হেরেছে মহমেডান। এরকম একটি ম্যাচের আগে দলকে উদ্বুদ্ধ করা সত্যিই কঠিন। চেন্নাই ম্যাচকেই ফাইনাল হিসেবে ধরেছিলেন অস্কার ব্রুজো। হারের পর জানিয়ে দেন, এবার ফোকাস এএফসি এবং সুপার কাপে।
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ নাকি যুদ্ধক্ষেত্র, ফুটবল মাঠে বন্দুক প্রদর্শন, পুলিশ হেফাজতে পাঁচ🦩 দুষ্🧜কৃতি
তবে রবিবার মিনি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য কী থাকবে? ইস্টবেঙ্গল কোচের দাবি, রবিবারেরর ম্যাচ হল তাঁদের কাছে সম্মানের লড়াই। অস্কার বলেন, ‘রবিবারের ডার্বি মর্যাদায় লড়াই। আমার, প্লেয়ারদের, বাকি কোচদের, কর্তাদের দলের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত আছে, তাঁদের সকলের সম্মানের লড়াই। আমাদের এটা দুঃস্বপ্নের মরশুম। খুবই খারাপ বছর। একাধিক প🤡্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিপক্ষ আমাদের থেকে এগিয়ে। আমরা ১১ নম্বরে আছি। লিগ টেবলে আরও উন্নতি করার লক্ষ্য নিয়ে নামতে হবে। প্রথম ছয় ম্যাচ বাদ দিলে, বাকিগুলোর রেজাল্ট বিচার করা হলে আমাদের সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে আমাদের সামনে বাধা থাকে। এই সপ্তাহেও নতুন কিছু না। আমাদের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। নিজেদের মানের পরিচয় দিতে হবে। তুলনায় ভালো জায়গায় থেকে মরশুম শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোচিতে জিতলে শিল্ড জয়ের দিকে এক ধাপ এগোব… কেরল ম্যাচের আগে অকপট দাবি মোলিনা🦩র
ইস্টবেঙ্গল প্লে অফ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিক্ষোভ দেখায় সমর্থকেরা। লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচের দাবি, সমর্থকদের সেই অধিকার আছে। এতে হতাশ হও🎀য়ার পরিবর্তে, মোটিভেশন হিসেবে নিতে চান। অস্কার বলে দেন, ‘ফ্যানদের সেই অধিকার আছে। ওদের আশা করা অস্বাভাবিক নয়। আমাদের আত্মদর্শন করতে হবে। যদি আমরা সেটা না করতে পারি, তাহলে আমাদের এই ক্লাবে থাকার অধিকার নেই। এটা কোচ, প্লেয়ার, কর্তা, ম্যানেজমেন্ট, সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাস্তবটা মেনে নিতেই হবে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের থেকে প্রত্যাশা থাকবেই। সেটা আমাদের সবাইকেই বুঝতে হবে। সমর্থকদের ক্ষোভ প্রকাশে হতাশ না হয়ে, সেটাকে মোটিভেশন হিসেবে নিতে পারলে ভালো।’
আরও পড়ুন: মহমেডানের কোচের দেখা নেই, আদৌ ফিরবেন চের্নিশভ?
ক্লেটনকে সম্ভবত চলতি মরশুমে আর পাওয়া যাবে না। তাঁর পরিবর্ত ফুটবলার নেওয়ারও সুযোগ নেই। সুতরাং এএফসিতে বিদেশি সম🐈স্যায় পড়তে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তাই মরশুমের বাকি টুর্নামেন্ট নিয়েও খুব একটা আশাবাদী শোনাল না অস্কারকে। তবে মেসি বাউলির সংযোজনে কিছুটা আশার আলো দ🥂েখছেন। মনে করছেন, ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার ডিয়ামানটাকোসকে সাহায্য করতে পারবে। তাই মহমেডানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশেই থাকছেন মেসি। তবে চোটের জন্য চার বিদেশি নিয়ে নামা হবে না ইস্টবেঙ্গলের। নেই ক্লেটন, চুংনুঙ্গা। অনিশ্চিত মহেশ, জিকসন। সামনে এএফসি থাকায় কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চান না অস্কার।
এদিকে প্রথম বার সাংবাদিকদের সামনে আসা মেসি বাউলির গলায় কিঞ্চিৎ অনুযোগ। তিনি বললেন, ‘যে কোনও দলে যোগ দেওয়ার পরে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। 🍨তবে ইস্টবেঙ্গলে সেই সময়টুকুও পাইনি। তাতে অসুবিধা নেই। আমরা পে𒆙শাদার। সব ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। দলের কথা মাথায় রেখে পারফর্ম করব। সবার আগে দলের কথা ভাবতে হবে।’