শুরু থেকে বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে ছিলেন না মহম্মদ হ্যারিস। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ফখর জামান চোট পেয়ে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় শিকে ছঁড়ে হ্যাܫরিসের ভাগ্যে। পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের মূল স্কোয়াডে ঢুকেই মাঠে নেমে পড়েন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপার টুয়েলভের দু'টি ম্যাচেই দলের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন হ্যারিস।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১১🦄 বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হ্যারিস। পরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। হ্যারিসের এমন দাপুটে ব্যাটিং দেখার পরে বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থক সকলেরই দাবি, তাঁকে ওপেন করতে পাঠানো উচিত পাকিস্তানের। ফর্মে না থাকা বাবরের উচিত তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা।
বাবর নিজে অবশ্য ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কী ভাবছেন, তা বলা মুশকিল। তবে হ্যারিস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিনিশ করে না আসায় তাঁকে সাজঘরে উপদেশ দিতে পিছপা হননি পাক দলনায়ক। হ্যারিসের দাপুটে ই♔নিংসের প্রশংসা করে 🅺বাবর তাঁকে পরামর্শ দেন সুযোগ মতো ম্যাচ ফিনিশ করে আসার। কেননা ম্যাচ ফিনিশ করে আসতে পারলে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বাবর এও দাবি করেন যে, তাঁকেও সিনিয়ররা একদা একই পরামর্শ দিতেন।
আইসিসি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে, যেখানে বাংলাদেশ ম্যাচ জয়ের পরে বাবরকে ড্রেসিংরুমে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়োতেই বাবর হ্যারিসকে বলেন, ‘শেষ দু’ম্যাচে দল হিসেবে আমরা যেমন ✅খেলেছি, ঠিক এটাই করতে হবে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। বিশেষ করে হ্যারিস, যেভাবে তুমি খেলেছ, অসাধারণ।'
পরক্ষণেই বাবরকে বলতে শোনা যায়, ‘ছোট ছোট কিছু বিষয় তোমাকে আরও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। যখন ম্যাচ ফিনিশ করে আসবে, তোমার আত্মবিশ্বাস অন্য পর্যায়ে পৌঁছবে। ম্যাচ যখন হাতের মুঠোয়, উইকেট ছুঁড়ে দেও🐈য়া উচিত নয়। আমরাও এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। আমাদেরও বড়রা বলেছিল যে, ম্যাচ ফিনিশ করে এলে আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে। তখন পরের ম্যাচে তুমি অন্যরকম খেলবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।