শুভব্রত মুখার্জি: স্বপ্নের ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজা কার্যত একাই ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে দিলেন। প্রথম ওয়ানডেতে দুরন্ত শতরানের পরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করলেন তিনি। তাকে ব্যাট ꦇহাতে যোগ্য সঙ্গত দিলেন রেজিস চাকাভা। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়েই অভিষেক হওয়া টনি মুনিয়ঙ্গা আফিফ হোসেনের বলে ছয় মেরে জিম্বাবোয়েকে ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করলেন। শক্তিশালী ওয়ান🅺ডে দল হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশকে ধরাশায়ী করলেন সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাভারা। বাংলাদেশর দেওয়া বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয় হলেও পরে দারুণ জুটি বেঁধে জিম্বাবোয়ে পৌঁছে গেল জয়ের বন্দরে। ৫ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল জিম্বাবোয়ে। ৯ বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল জিম্বাবোয়ে।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে মেড💟েল পেল না ইংল্যান্ড, ক্রিকেটে ব্রোঞ্জ কিউয়িদের
রান তাড়া করতে নেমে পেসার হাসান মাহমুদের তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো (০) তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ফিরতি ওভারে হাসান মাহমুদ ফেরান প্রথম ম্যাচের অন্যতম নায়ক সেঞ💃্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়াকে (৭)। মিরাজ বলে ওয়েসলি মাধভেরে (২) লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে জিম্বাবোয়ে। ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। উইকেটে আসেন সিকান্দার রাজা। এরপর তাইজুলের বলে ৪২ বলে ২৫ রান করে আউট হন মারুমানি।
জিম্বাবোয়ে🍨র চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৪৯ রানে। এই অবস্থায় অধিনায়ক রেজিস চাক𓆉াভাকে সঙ্গী করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেন সিকান্দার রাজা। ২৪.৩ ওভারে জিম্বাবোয়ের স্কোর ১০০ পার করে।রাজা ৬৭ বলে পঞ্চাশ পূরণ করেন। বিধ্বংসী মেজাজে চাকাভা অর্ধশতরান পূরণ করেন ৩৬ বলে। ৩৮তম ওভারে দুশো রানের গন্ডি পের হয় জিম্বাবোয়ে। ১১৫ বলে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেন সিকান্দার রাজা। হাসান মাহমুদকে ছয় মেরে ৭৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে সম্পন্ন করেন চাকাভা। ১৬৮ বলে ২০১ রানের জুটির গড়েন দুজনে।
৭৫ বলে ১০২ রান ক൩রে অবশেষে আউট হন চাকাভা। জিম্বাবোয়ের তখনও জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪১ রান। বাকি কাজটা রাজা এবং টনি মুনিয়ঙ্গা শেষ করেন। ১২৭ বলে ১১৭* রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। মুনিয়ঙ্গা ১৬ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন। ১৫ বল বাকি থাকতেই জয় পায় জিম্বাবোয়ে। টানা দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা হলেন সিকান্দার রাজা।
এদিন হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে বাংলদেশ। তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয় প্রথম উইকেটে তোলেন ৭১ রান। ৪৫ বলে ৫০ রান করেন তামিম। ২৫ বলে ২০ রান করে আউক হন বিজয়। পরবর্তীতে নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৮) আর মুশফিকুর রহিম (২৫) গড়েন ৫০ রানের জুটি। এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে যোগ দেন তরুণ আফিফ হোসেন। ৮১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙেন সিকান্দার রাজা। বলে ৪১ বলে ৪১ করেন আউট হন আফিফ। ৮৪ বলে🥃 ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন সিকান্দার রাজা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।