কোনও সামাজিক মাধ্যমকেই নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ভারতে ব্যবসা করা সকল সংস্থাকেই দেশের আইন মেনে চলতে হবে। সম্প্রতি আইটি নিয়ম না মানায় টুইটারের রক্ষাকবচ হারানো প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেই সময় রবিশঙ্কর বলেন, 'আমরা টুইটারকে তিনমাস সময় দিয়েছিলাম। সবাই মেনে নিলেও টুইটার মানেনি।'প্রসঙ্গত, ভারতের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন না মানায় বুধবারই তাদের রক্ষাকবচ হারায় টুইটার। এই প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মাবলীর ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী যদি কেউ নিয়ম না মানে, তাহলে ভারতীয় দণ্ডবিধি-সহ অন্য়ান্য আইনের আওতাধীন হয়ে যেতে হবে সেই সংস্থাকে।'মন্ত্রী জানিয়েছেন, এরপর থেকে টুইটারে বেআইনি বা প্ররোচনামূলক কিছু পোস্ট করা হলেই আইন মোতাবেক তার ফল ভোগ করতে হবে টুইটার কর্তৃপক্ষকে। সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক, ভারতে সংস্থার ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর-সহ যে কাউকেই পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে। ইতিমধ্যেই টুলকিট কাণ্ডে দিল্লি পুলিশের নিশানায় রয়েছে টুইটার। এর জেরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি আগামী দিনে টুইটারকে ভারতে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে? এর জবাবে রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, সরকার এই ধরনের কোনও মাধ্যমকেই নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। কিন্তু প্রত্যেককেই আইন মেনে চলতে হবে।কেন্দ্রীয় সরকার যে টুইটারের সঙ্গে কোনও পক্ষপাতমূলক আচরণ করেনি, তা বোঝাতে রবিশঙ্কর বলেন, 'দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি-সহ সরকার পক্ষের অর্ধেক মানুষই টুইটারে সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু নিয়মটা নিয়মই। আমরা ন্যায্যভাবে কাজটা করছি। যখন কোনও ভারতীয় সংস্থা আমেরিকায় গিয়ে কাজ করে, তখন তাদের স্থানীয় আইন মেনে চলতে হয়। একইভাবে কোনও মার্কিন সংস্থা এখানে কাজ করলে, তাদেরও এখানকার আইন মানতে হবে।'