গতিবিধি পরিবর্তন করছে পৃথিবী, 🦋যা মানুষের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। মেরু অঞ্চলে বরফ গলছে দ্রুত গতিতে, এরই প্রভাব পৃথিবীর গতিতেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এ বিষয়েই গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। ফলাফল দেখ🎃ে চিন্তায় উড়েছে ঘুম। গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চমকপ্রদ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কী কী পরিবর্তন আসছে
নেচার জিওসায়েন্সের এই নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণন ও অক্ষে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পৃথিবীর গতি এখন আরও ধীর হয়ে যাচ্ছে, যার কার🥂ণে দিন এবং রাতের সময় পরিবর্তন হতে চলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এখন থেকে দিন দীর্ঘ হবে এবং রাত হয়ে যাবে ছোট। গ্রীনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে, বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। জল বিষুবরেখার দিকে চলে যাচ্ছে, যার কারণে পৃথিবীর ভরও বৃদ্♛ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর ধীর গতির একটি প্রধান কারণ হল চাঁদের মহাকর্ষীয় টান। মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীতে সমুদ্র থেকে জল টেনে নেয়, জোয়ার সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়াকে জোয়ার ঘর্ষণ বলা হয়। এই জোয়ার পৃথিবীর ঘূর্ণনে ঘর্ষণ সৃষ্টি করে, যা এর ঘূর্ণনকে ধীর করে দেয়। এই কারণে, কয়েক মিলিয়ন বছর ধর꧋ে পৃথিবীর গতি ধীরে ধীরে প্রতি শতাব্দীতে ২.৪০ মিলিসেকেন্ড কমেছে।
আরও পড়ুন: (Cave On Moon: চাঁদে গিয়ে এবার গুহায় থাকবেন মহাকাশচারীরা! দা💦রুণ জায়গা খুঁজে পেয়ℱেছেন বিজ্ঞানীরা)
২১০০ সাল নাগাদ দিনগুলি ২.২ মিলিসেকেন্ড দীর্ঘ হবে
নতুন গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, পৃ𝔍থিবীর এই দিন বড় রাত ছোটো হওয়ার অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারꦉে। এর দরুণ, একবিংশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ পৃথিবী এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে যে তার প্রভাব চাঁদের টানের চেয়েও বেশি হবে। এমনিতেই ১৯০০ সাল থেকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, দিনগুলি ০.৮ মিলিসেকেন্ড দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে এবং যদি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন একইভাবে বাড়তে থাকে, তবে ২১০০ সাল নাগাদ শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিনগুলি ২.২ মিলিসেকেন্ড দীর্ঘ হতে শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, এই গবেষণাপত্র অনুসারে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি সঠিকভাবে পরিমাপ করতে গ🐈্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) সাহায্য নিয়েছিলেন। পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি এক মিলিসেকেন্ডের একশত ভাগ পর্যন্ত পরিমাপ করতে পারে জিপিএস। হাজার বছরের পুরনো সূর্যগ্রহণের তথ্যও গবেষণায় অন্তর্ভুক্ღত করা হয়েছে।