বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আশঙ্কার কারণ হল র্যানসমওয়্যার। এর ফলে মারাত্মক অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত ত্রুটির ঝুঁকি রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে এমনটাই জানাল ৩০ টি দেশের একটি সম্মিলিত গোষ্ঠী।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেন এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল। বুধবার ও বৃহস্পতিবার - দুই দিন ধরে চলে আলোচনা।র্যানসমওয়্যার কী?র্যানসমওয়্যার এমন এক ম্যালওয়্যার ভুক্তভোগীর তথ্য এনক্রিপশন দিয়ে আটকে দেয়। তারপর সেটি ফেরত দেওয়ার জন্য মুক্তিপণ দাবি করে। মূলত কোনও বড় প্রতিষ্ঠান, সরকার ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ ডেটাকেই টার্গেট করা হয়। ডেটাবেস অ্যাকসেস করতে না পারলে থমকে যায় কাজ।মূলত একটি নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এগুলি ডেভেলপ করা হয়। নিমেষের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারকেও পঙ্গু করে দিতে পারে এই র্যানসমওয়্যার। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমাদের দেশের সরকার র্যানসমওয়্যার হানার ঝুঁকি কমাতে যথাযথ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে'। এর ফলস্বরূপ নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।মুক্তিপণের অর্থ পাচারের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার অপব্যবহারের মোকাবিলা করাই এখন বিভিন্ন দেশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আধনিক প্রযুক্তি ও কড়া আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমেই এর প্রতিরোধ করা সম্ভব, উল্লেখিত হয় বৈঠকে। নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিগত কাঠামোর উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ এবং গবেষণার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয় এই আলোচনায়। অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে ছিল ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইজরায়েল, ইতালি, জাপান, কেনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন এবং সংযুক্ত আরব আমিশাহী।