সংস্থাগুলি ভারতে তাদের কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন, রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসার এবং যোগাযোগের ঠিকানা নিয়োগ করেছে কিনা সে বিষয়ে বিশদ বিবরণ দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে দিয়ে নতুন নির্দেশিকার বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করার কথাও বলেছে কেন্দ্র।বুধবারের মধ্যেই কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছে। ২৬ মে-র তারিখের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'সরকার একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভারতে পঞ্চাশ লক্ষের বেশি ব্যবহারকারী আছে এমন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে বিশেষ সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারমিডিয়ারির(SSMI) তকমা দিয়েছে।' 'তিন মাস সময় দেওয়ার পর আজ থেকে এসএসএমআই সম্পর্কিত অতিরিক্ত নজরদারি আজ থেকে কার্যকর হবে,' বলা হয়েছে এদিনের বিবৃতিতে। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগলসহ বেশিরভাগ বৃহত্ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি এখনও নতুন নিয়মাবলী প্রয়োগ শেষ করে উঠতে পারেনি। গত ২৫ মে ছিল ৩ মাসের সময়সীমার শেষ দিন। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এদিন আরও বলা হয়েছে যে, 'যে কোনও তথ্য চাওয়ার অধিকার আইনত সরকারের রয়েছে।'নয়া নীতি :১. সংস্থাগুলিকে একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন এবং সর্বক্ষণের গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে।২. কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করে দেওয়া যে কোনও কনটেন্ট ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে রিমুভ করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে।৩. হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপের ক্ষেত্রে কোনও ভাইরাল মেসেজ প্রথম কে লিখে ছড়াতে শুরু করেছেন, তার হদিশ খুঁজে বের করা, অর্থাত্ মেসেজ ট্রেসিংয়ের সুবিধা আনতে হবে।৪. সরকারের সঙ্গে সংস্থার কোনও আধিকারিকের যোগাযোগ রাখতে হবে। তিনি সরকারের বিভিন্ন নির্দেশ-আর্জি সংস্থার কাছে ব্যক্ত করবেন। প্রতি মাসে একটি কমপ্লায়ান্স রিপোর্ট পেশ করতে হবে।মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নয়া নীতিগুলি কার্যকর করার বিষয়ে মনে করিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। 'নয়া নির্দেশিকা মেনে না এগোলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে,' সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।এরপরেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এবার কি তবে ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি স্থগিত হয়ে যাবে? কেন্দ্রকে কোনও বৃহত্ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই নয়া নীতি প্রণয়নের বিষয়ে কোনও আপডেট দেয়নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক।এরপরেই মঙ্গলবার ফেসবুক, টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, নয়া নীতি প্রণয়নের বিষয়ে সংস্থার অভ্যন্তরে কাজ চলছে। ফেসবুক যদিও এর আগেই ভলিন্টিয়ারি ভেরিফিকেশান, গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল ও ২৪ ঘণ্টায় ফ্ল্যাগড কনটেন্ট রিমুভ করার ব্যবস্থা করেছে।