সাধারণ বিদ্যুতের চেয়েও ৫০ গুণ শক্তিশালী, যেন এক ভুতুড়ে ঐতিহ্য। হিমালয় পর্ℱবতমালার উপর🤡 আকস্মিক জ্যোতি দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল নাসার। সেই মুহূর্তই এইবার শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবিতে কী দেখা গিয়েছে
জ্যোতির্বিজ্ঞানকে যেন সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে নাসা। সময়ে🐼 সময়ে মহাবিশ্বের আশ্চর্যজনক ছবি শেয়ার করা হচ্ছে। এবার আরও একবার মহাকাশ প্রেমীদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছে নাসা। তবে, মহাকাশের ছবি দেখিয়ে নয়, পৃথিবীর ছবি দেখিয়ে। গত সপ্তাহে নাসার অ্যাস্ট্রোনমি পিকচার অফ দ্য ডে শেয়ার করেছে।
ছবিতে হিমালয়ে ঝড়ের ছবি ফুটে উঠেছে। চিন এবং ভুটানের অংশের হিমালয় পর্বতমালায়, ঝড় থেকে উদ্ভূত এই বিশাল বজ্রপাতের মুহূর্ত ধরা পড়েছে। এই বজ্রপাত দেখতে অলৌকিক এবং সুন্দর বলে মনে হলেও, এটি কিন্তু অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই ব্রজপাতের নাম দেওয়া হয়েছে 'জাইজানন্টিক জেটস' বা দৈত্যাকার জেটস। ছবিটিতে চারটি লম্বা জেটকে মহাকাশের দিকে ♔যেতে দেখা গিয়েছে। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ঘটেছে এই ব্রজপাত। শুধুমাত্র ২১ শতকেই এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা।
আরও পড়ুন: (২০ জুলাই থেকে বন্ধ হয়েꦑ যাবে বেশ কিছু Paytm Wallet!)
সাধারণত বজ্রপাত মেঘ থ💖েকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। কিন্তু এই বজ্রপাত সোজা ভূমি থেকে আকাশের দিকে ছুটেছে। মাটির দিকে পড়ার সময় এই বজ্রপাত সাধারণত শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। একই সময়ে, এটি পৃথিবীর আয়নোস্ফিয়ারের মধ্যে ব্যবধানও দূর করে। ঝড়ের রং🅰ও পরিবর্তন হয়ে যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে নীল জেট। আর এর উপরের শাখাটিকে বলা হয় রেড স্প্রাইটস।
ওয়েদার ডট কম এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দৈত্যাকার জেটগুলি মাটিতে পড়তে থাকা স্বাভাবিক বজ্রপাতের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জের ভারসাম্য রক্ষায় এর জুড়ি মেলা ভার। পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছোতে পারে এগুলো। নাসা জানিয়েছে, শত শত কিলোমিটার দূর থেಞকেও এ ধরনের ঝড় স্পষ্ট দেখা যায়। এই অদ্ভুত বজ্রপাত সম্পর্কিত অনেক গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা, তবুও এর উদ্ভবের সঠিক কারণ এখনও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, ২০১৯ সালে অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটেছিল। একজন বিমানের যাত্রী বিমানের উইংগসের বাইরে দেখা একটি বিশাল জেট বজ্রপাতের ছবিও তুলেছিলেন। জেটটি ভারতের ভদ্রকের উপরে মাত্র ৩.২-সে﷽কেন্ডের এক্সপোজার🔜ে ধরা হয়েছিল।