চড়া রোদে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে দেউচা পাঁচামি এলাকার ১৭টি গ্রামে একসপ্তাহের মধ্যে জলসংকট সমাধানের আশ্বাস দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আসলে এগুলি যে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি নয় সেটা তিনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছেন ৬ দিনের মধ্যে তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের সদস্যকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে তুলে দিয়ে। এবার এখান থেকেই তিনি গালোয়ান সংঘর্ষে শহিদ সাইথিয়ার বেলগড়িয়া গ্রামের রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একসপ্তাহের মধ্যে রাজেশের বাবা সুভাষ ওরাংকে কৃষকবন্ধু, মা মমতা ওরাংকে স্বাস্থ্যসাথী এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্ড করে দিতে দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই যেন ম্যাজিক দেখছেন জেলার ༒মানুষজন। দু’হাতে আশীর্বাদ করছেন মানুষজন।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? এদিন তিনি নিজে যান এই পরিবারের কাছে। শোনেন তাঁদের অভাব–অভিযোগের কথা। আর তারপরই বলেন, ‘শহিদের পরিবারকে রাজ্যের পক্ষ থেকে সরকারি সমস্ত প্রকল্প ও বোনকে ডিএম অফিসে চাকরি করে দেওয়া হয়েছে। কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করার সরকারি প্রক্রিয়া ওদের জানা নেই বলে হয়নি। দু’তিন দিনের মধ্যে ওই কার্ডগুলি করে দেওয়ার কাজ শুরু করে দেবে স্থানীয় নেতৃত্ব।’ শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। শিশুরা কে কোন ক্লাসে পড়ে তার খবর নেন তিনি। প্রথম শ্রেণিতে পড়া সা𝓰থীর গাল টিপে আদরও করেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে একাধিক মানুষ তাঁকে চিঠিতে স্থানীয় নানা অভিযোগ জমা দেন। তারপর তিনি পৌঁছে যান মহম্মদবাজারের জনসভায়। এখন থেকেই অভিষেক বলেন, ‘আমি আপাতত🗹 সাময়িকভাবে একটা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ১৭টা বুথেই একটি করে টিউবওয়েল বসানো হবে। আমাকে তিনটে মাস সময় দিন। কথা দিচ্ছি, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দেব। আর জলের কোনও সমস্যা থাকবে না।’ আর তখন গ্রামবাসীরা চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘ভগবান ওনার মঙ্গল করুন।’