‘জিমার’ পর এবার ‘মর্নিং’। তার কোল আলো করে এল ফুটফুটে সন্তান।এরা দু’জনেই মা। আবার স্বজাতে দু’জনেই ‘স্নো লেপার্ড’। মাত্র ১৭ দিনের ব্যাবধানে দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় ভুমিষ্ঠ হল তুষার চিতা শাবক। মঙ্গলবার ভোরে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে এই নিয়ে দু’বার জন্ম নিল স্নো লেপার্ড অর্থাৎ তুষার চিতা শাবক। সদ্যজাতের মায়ের নাম মর্নিং আর বাবা মাকালু। তবে শাবকটির এখনও নামকরণ হয়নি৷ উত্তরবঙ্গ তো বটেই গোটা রাজ্যবাসীর কাছে খুশির খবর বয়ে আনল মর্নিং। কারণ, দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় মাত্র ১৭ দিনের মধ্যেই আবার এই তুষার চিতা শাবকের জন্ম হয়েছে৷এদিন ভোরে মা চিতা মর্নিং শাবক প্রসব করে। মা ও শাবক দু’জনেই বেশ ভাল আছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ৷ দু’জনকেই ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মা ও সদ্যজাত শাবককে লোকচক্ষুর আড়ালে নাইট শেল্টারে রাখা হয়েছে। তাদের কোনওরকম বিরক্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। আপাতত বাচ্চাটি মায়ের দুধই পান করবে। মর্নিং ও মাকালুর বয়স প্রায় সাত বছর। ১৭ দিনের মধ্যে দু’বার স্নো লেপার্ড শাবকের জন্ম হওয়ায়, খুশির হাওয়া বইছে চিড়িয়াখানায়। চলতি মাসের ১০ তারিখেই জিমা ও নামকা নামে স্নো লেপার্ড দম্পতি তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। জিমা এক সঙ্গে তিনটি শাবক প্রসব করে৷ এদিন মর্নিংয়ের সদ্যোজাতকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় স্নো লেপার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩। দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় জন্ম স্নো লেপার্ডের৷এবিষয়ে দার্জিলিংয়েরর পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কের ডিরেক্টর ধরমদেও রাই বলেন, ‘জিমার পর মর্নিং বাচ্চা প্রসব করল। এটা সত্যি আমাদের কাছে খুশির খবর। স্নো লেপার্ড কনজারভেশন ব্রিডিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমরা শাবকটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। একমাত্র চিকিৎসক ছাড়া আর কাউকে ওদের খাঁচার সামনে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’ তিনি আরও জানান, জিমার তিনটি শাবকও ভাল আছে। এরা প্রত্যেকেই তোপকেদারা প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে। আপাতত তাদের কাছে ৪টি শাবক ও ৯ টি বড় স্নো লেপার্ড রয়েছে।