সাপের মুখে মুখ নিয়ে এসে চুমু খেলেন এক যুবক। এরপর তার ছবিও তোলা হয়। সেই ছবি ঘুরছে সো꧒শ্য়াল মিডিয়ায়। সেই ছবি দেখে শিউরে উঠছেন অনেকেই। আসলে সস্তা প্রচꦫারের লোভে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ধূপগুড়ি ব্লকের পশ্চিম মল্লিকপাড়ার এক যুবক। একেবারে হাড়হিম করা ছবি। কিন্তু প্রয়োজনীয় সতর্কতা ছাড়া সাপকে নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও তো প্রশ্ন উঠছে।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছে?
ধূপগুড়ি ব্লকের পশ্চিম মল্লিকপাড়ায় ধান কাটার কাজ চলছিল। রবিবার সকালে সেই ধান ছোট ছোট আঁটি করে রাখা হয়েছিল। এরপর সেগুলিকে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হবে। এমন সময়ই ওই কৃষকের মনে হয় হাতে যেন নরম কিছু একটা লাগছে। এরপর তিনি দেখেন এক বিরাট অজগর রয়েছে ওখানে। চিৎকার শুরু করে দেন তিনি। চারপাশ থেকে অন্যান্য কৃষকরা চলে আসেন। এরপর দেখা যায় প্রায় চার ফুট লম্বা সাপ।এদিকে সেই সময় কয়েকজন যুবকও চলে আসেন ওখানে তারা সাপটিকে ধরে ফেলেন। এরপর স♉েটিকে ধরে চুমুও খান এক যুবক। একেবারে মুখের কাছে মুখ নিয়ে এসে চুমু। সেই সময় তার ছবিও তোলা হয়। এখানেই আপত্তি তুলছেন পরিবেশপ্রেমীরা। এভাবে সাপের মুখে মুখ দিয়ে চুমু খাওয়াটা কতটা যুক্তি🍌সংগত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদি এটা বিষধর সাপ হত তবে বিরাট বিপদ ঘটে যেতে পারত। তাছাড়া বর্তমানে সোশ্য়াল মিডিয়া দেখে অনেকেই অনুকরণ করেন। কেউ যদি এবার বিষধর সাপের সঙ্গে এভাবে চুমু খেয়ে বীরত্ব দেখাতে চান তবে অসাবধানতায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মনে করা হচ্ছে জলঢাকা নদী থেকে সাপটি হয়তো চলে এসেছিল ধান ক্ষেতে। অনেক সময় ইঁদুরের লোভে সাপ চলে আসে ধানক্ষেতে। পাক ধান কাটার সময় মাঠে ইঁদুরের উৎপাত বাড়ে। আর সেই ইঁদুর ধরার জন্য চলে আসꦓে সাপ।
তবে সাপটিকে উদ্ধার করে পরিবেশপ্রেমীরা সেটিকে মরাঘাট রেঞ্জের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে নিয়ম বলছে এভাবে অজগর ধরে সেটাকে নিয়ে চুমু খাওয়া বা খেলা দেখানো যায় না। এর জেরে শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া এই ধরনের প্রবণতা সমাজে বাড়তে থাকলে তা থেকে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। 🅠বনদফতরও এনিয়ে খোঁজ খবর করছে।