সাইবার ক🉐্রাইম রাজ্যে বেড়ে গিয়েছে। তাই সদাসতর্ক থাকতে প্রচার করা হয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু এবার অভিনব কায়দায় সাইবার জালিয়াতি হল। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের। কারণ খোদ আসানসোল পুরনিগমের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিল সাইবার জালিয়াতরা। এবার অভিনব কায়দায় আসানসোল পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল ৪০ লক্ষ টাকা। ভুয়ো লেটার প্যাড ব্যবহার করে ফোন নম🀅্বর বদলের আবেদন করা হয়। তারপরই সেই ফোন নম্বর ব্যবহার করে সাফ করে দেওয়া হয় টাকা।
এই ঘটনার পর আসানসোলের মেয়র বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন পুরনিগমের অর্থ বিভাগকে। ইতিমধ্যেই সেই লিখিত অভিযোগ তাঁরা আসানসোল সাইবার সেলে জমা করেছেন। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন। তিনি জানান, আসানসোলের এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট আছে। ২৮ অক্টোবর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যায়। যদিও এই নিয়ে ধরপাকড় করার পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘পুরনিগমের গায়েব হওয়া টাকা মধ্যপ্রদেশের জব্ব🎐লপুরে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বারাসাতের তেল কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঝলসে একজনের মৃত্যু, অগ্নিদগ্ধ বহু
কিন্তু গোটা বিষয়টি ঘটল আর আসানসোল পুরনিগম কিছুই জানতে পারল না! ভুয়ো লেটার প্যাড তৈরি করে তাতে ভুয়ো ফোন নম্বর বসিয়ে ๊ব্যাঙ্কে দিয়ে আসা হল। তার পর সেই নম্বর ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হল। পুরনিগম টেরও পেল না। এটাতেই আশ্চর্য হচ্ছেন অনেকে। এই ঘটনায় আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখন এই ভুয়ো লেটার প্যাড, মোবাইল নম্বর এবং টাকা হাতানোর সূত্র ধরেই পুরনিগমের টাকা উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরনিগমকে বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়।