হাতে আর একমাসও সময় নেই। জোরকদমে কাজ চলছে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির। মণ্ডপ তৈরি থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা—সব কাজই এখন শেষের পর্যায়ে বড় দুর্গাপুজো কমিটিগুলির। এই আবহে আবার উৎসবের প্রাক্কালে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের। গত অগস্ট ♍মাসে হরিয়ানায় বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতেই এবার মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে উদ্ধার হল বীরভূমের এক পরিযায়ী শ্রমিকের গলাকাটা দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো💟 আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই শ্রমিকের নাম সোমনাথ দেবনাথ। তিনি বীরভূমের নলহাটি গ্রামের পানিটা গ্রামের বাসিন্দা। শ্রমিকের কাজ করেই সং🅰সার চালাতেন সোমনাথ। তাই সেই কাজেই মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে যান। ওখানে কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করবেন তা দিয়ে দুর্গাপুজোয় আনন্দ করার কথা ছিল তাঁর। পরিবারকে সেরকমই বলেছিলেন সোমনাথ। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে ঠাণের একটি নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে শ্রমিকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর আসল কারণ এখনও অজানা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এবারেও কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ! কবে থাকছে বঙ্গ সফর?
মৃত শ্রমিকের পরিবার সূত্রে খবর, কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রের ঠাণেতেই থাকতেন সোমনা💧থ দেবনাথ। ওখানে প্রথম কাজ করতে গিয়েছেন এমন নয়। গত দেড় বছর ধরে ওখানেই শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পরিবারের সঙ্গে ফোন আসে শেষবারের মতো। তখন কথা হয় সোমনাথের সঙ্গে। তারপর মাঝের কটা দিন পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি সোমনাথ। হঠাৎ মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন পেয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। এবার দুর্গাপুজোয় অনেকগুলি জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সোমনাথ। কিন্তু তার কোনটিই বাস্তবায়িত হল না। এটা খুন।