পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে বিজেপি বেশ শক্তিশালী। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরের আসনগুলিতে তৃণমূলের থেকে অনেক এগিয়ে থেকেছে বিজেপি। এমনকী বিধানসভা ভোটেও বিজেপি তুলনামূলক ভাবে ভালোই ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। এই আবহে উত্তরবঙ্গ থেকে দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছিল। তাঁদেরই একজন ছিলেন জন বারলা। তবে এই আদিবাসী নেতাকে এবার আলিপুরদুয়ার থেকে টিকিটই দেয়নি বিজেপি। এর বদলেটিকিট পেয়েছেন বিজেপির দু'বারের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। আর এরপরই মনোজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন বারলা। আর তাই বারলার রাগ কমাতে ময়দানে নেমেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকী দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও বারলার ক্ষোভ মেটাতে ময়দানে নেমেছেন। (আরও পড়ুন: মুকুটমণিকে বধূ 𝔍নির্যাতন ইস্যুতে আক্রমণ শুভেন্দুর, মতুয়া গড়ে ঘ🌱ুরবে খেলা?)
আরও পড়ুন: 'আমি এই যুদ্ধের🅺 সৈনিক নই', রাজনীতি ছাড়বেনই, জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের চিরঞ্জিৎ
রিপোর্ট অনুযায়ী, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ বারলার সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাতেও ক্ষোভ কমেনি বারলার। এমনিতে আলিপুরদুয়ার আসনটি জয়ের প্রলব সম্ভাবনা আছে বিজেপির। তবে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে আসনটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির জন্য। গতবার জন বারলা এই আসনে বিজেপিকে জয়ী করলেও এবার তাঁর নাম কাটা পড়েছে তালিকা থেকে। এই আবহে গত মঙ্গলবার দুপুরে তিনি লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান সংলগ্ন বাড়িতে বসে মনোজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মনোজ টিগ্গা বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ন꧃েতৃত্বের কাছে তাঁ🌊র নামে বদনাম করেছেন। জনের অভিযোগ, নিজে টিকিট পাওয়ার জন্য এসব করেছেন মনোজ। বারলার দাবি, মনোজ টিগ্গা কোনওদিন আদিবাসীদের জন্য আন্দোলন করেনি। এই আবহে বারলা বলেন, 'মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমি ওর হয়ে প্রচারে গিয়ে মার খেতে রাজি নই।'
আরও পড়ুন: জাম♌াই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, এবারꦍ নিজেও সংসদে যেতে চলেছেন সুধা মূর্তি!
গতবার আলিপুরদুয়ার আসনে আড়াই লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন জন বারলা। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদও জুটে গিয়েছিল। তবে এই সময়ে বারলার বিরুদ্ধে দুর্নীতিরꦍ অভিযোগ উঠেছিল। অন🎶েকের মতে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশের পরে ধীরে ধীরে চা বলয়ের থেকে দূরে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। এদিকে মনোজ টিগ্গা নিজে তাঁর বাড়িতে গিয়ে বারলার ক্ষোভ কমানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে টিগ্গার সামনেও রণমূর্তি ধারণ করেছিলেন বারলা। পরে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে টিগ্গা বলেন, 'কে প্রার্থী হবে, কে হবে না, তা কারও হাতে নেই। এটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করে। জনের ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না। কথাবার্তা চলছে। সব ঠিক হয়ে যাবে।' তবে টিগ্গা আশার বাণী শোনালেও পরিস্থিতি যে গুরুতর, তা বোঝা গিয়েছে নড্ডার ময়দানে নামার খবরেই।