দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। সেরকমই গতকাল রাতভর বৃষ্টি হয়েছে দুর্গাপুরে। তার ফলে জলমগ্ন হয়েছে শহরের একাধিক ওয়ার্ড। কার্যত জল থৈ থৈ অবস্থা, শহরের রাস্তা যেন নদীর রূপ নিয়েছে। এরফলে দুর্গাপুরে ব্যহত হয়েছে জনজীবন। বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন কলেজে। এছাড়াও, জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে ম্যানহোল😼ের ঢুকে গিয়েছে একটি বাইক। এদিকে, বৃষ্টির জলে শহর বানভাসি হওয়ায় রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে বিরো🍎ধী শিবির।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো ভাল কাটেনি সৈকতনগরীর জ𒁏েলায়, বন্যায় সব হারিয়ে বিষাদে কাটল উৎসব
গতকালের বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতভর বৃষ্টিতে ভয়ানক পরিস্থিতি হয়েছে দুর্গাপুর শহরের ১৯,২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ড। জল জমেছে ১৩-১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও। সেপকো টাউনশিপের একাংশ, সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশের বস্তি, এনআইটির সামনের রাস্তা, ৫৪ফুট, তপোবন আবাসন, সারদাপল্লী, শ্রীনগরপল্লী, আনন্দপুরী, মেন গেটের একাংশ সহ বহু জায়গা কার্যত জলের তলায়। এনআইটির সামনের রাস্তায় বাইক ভেসে যেতে দܫেখা যায়। ৫৪ ফুট এলাকা থেকে চারচাকা গাড়ি ভাসতে ভাসতে চলে আসে তপোবন এলাকায়। এই গাড়ি জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ধরে রাখতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকেও। জানা গিয়েছে, সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ক্লাসরুম ও শৌচাগার খুলে দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশের দুটি বস্তি থেকে জলমগ্ন মানুষজনকে কলেজে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সম্রাট চক্রবর্তী নামে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কর্মী জানান, তিনি বাইকে করে অফিস যাচ্ছিলেন। সেই সময় জলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় বাইকটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর জলের স্রোতে তিনি পড়ে যান এবং তার বাইকটি ভাসতে ভাসতে গিয়ে পড়ে ম্যানহোলের ড্রেনে। যদিও তিনি কোনওভাবে প্রাণে বেঁচেছেন। তবে বাইকটি তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তার অভিযোগ, একটু বেশি বৃষ্টি হলেই এখানে প্রচুর পরিমাণে জল জমে। এটি যেহেতু নিচু এলাকা। তাই এখানে বৃষ্টি হলেই জল জমার সমস্যা দেখা দেয়। তবে বাইক ভেসে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই কর্মী। স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, প্রায় ২০ বছর ধরে এরকম অবস্থা চলে আসছে। প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিবারই আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছ♔ুই হয় না। যার ফলে প্রতিবছর এখানকার মানুষদের এভাবেই ভুগতে হয়।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য, কোনওরকম পরিকল্পনা না করে বেআইনি নির্মাণ করে উঠেছে। আর এ বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কাউন্সিলররা। বেআইনি নির্মাণের জন্যই নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে অল্প বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে শহর। আজ পুরো শহর জলের তলায়। এরজন্য পুরোপুরিভাবে দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস।