প্রেম করে বিয়ে। আর সেই স্ত্রীকেই হাতুড়ি মেরে মাথা থেঁতলে খুন করল স্বামী বলে অভিযোগ। বাড়ির ভিতর থেকে গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। গোটা ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পুলিশ বধূর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই খুনের পর স্বামী–সহ পরিবারেꦏর সদস্যরা পলাতক। আজ, শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার গাবগাছি যদুপুর এলাকায়। এখানে এই ঘটনা এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত গৃহবধূর নাম রিঙ্কি শীল মণ🉐্ডল। এই গৃহবধূর বাপের বাড়ি মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লী নেতাজি কলোনি এলাকায়। কয়েক বছর আগে যদুপুরের যুবক ছোটন মণ্ডলের সঙ্গে রিঙ্কির বিয়ে হয়। দু’পক্ষই ভালবেসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একটি সন্তানও হয়। কিন্তু রিঙ্কির উপর আর্থিক চাপ দিত স্বামী ছোটন মণ্ডল। অর্থাৎ পণের জন্য চাপ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য অত্যাচার করা হতো। তা থেকেই খুন বলে মনে হচ্ছে্।
ঠিক কী বলছে পরিবার? পরিবার সূত্রে খবর, ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন রিঙ্কি–ছোটন। দুই পরি♍বারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছিল। ওদের একটি সন্তানও রয়েছে। রিঙ্কির বাবা বিপদ শীল বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য মেয়েকে শারীরিক অত্যাচার করত ছোটন এবং তার বাড়ির সদ♉স্যরা। মেয়ের সঙ্গে এই নিয়ে গণ্ডগোল হতো। সম্প্রতি একটি টোটো কেনার জন্য রিঙ্কির কাছে ২ লক্ষ টাকা চেয়েছিল ছোটন। সেটা দিতে অস্বীকার করে রিঙ্♉কি। তাই মেয়েকে খুন করা হয়েছে।’