সারা রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশ এখন মনোরম হয়ে উঠেছে। তীব্র গরমের দাবদাহ কাটিয়ে এখন খাবারের খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়েছে প্রাণীকুল। গরমে তেমন খাওয়া যায়নি। কিন্তু দু’দিন ধরে স্বস্তির বৃষ্টিতে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেড়েছে সকলেরই। সেই ইচ্ছা এবং ক্ষুধা থেকে বাদ পড়েনি গজরাজও। তাই খাবারের খোঁজে রাতের অন্ধকারে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়ে হাতি। আর চলে আসে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে। তারপর তা𝄹 ভেঙে ফেলে। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আগেও কয়েকবার ভেঙেছে হাতির পাল। তাই এটি চেনা ছিল। আর সেখানে থাকা খাবার খেয়ে চম্পট দেয় গজরাজ। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের।
গজরাজের খিদে পেয়েছিল বলে কথা। সেটা কখনও থেমে থাকে। তাই রাতে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আইভিল চা–বাগান এলাকায় আসে। 𝔍খাড়িয়ারবন্দর জঙ্গল থেকে একটি হাতি এসে আইভিল চা–বাগান এলাকায় ঢুকে পড়ে। আর তারপর মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের আইভিল চা–বাগানের কুর্তি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে হাতিটি। চা–বাগানে ঘুরে তেমন কোনও খাবার পায়নি হাতিটি। অবশেষে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একপাশের দেওয়াল ভেঙে দিয়ে ঢুকে পড়ে হাতিটি। এরপর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মজুত থাকা চাল–ডাল সাবাড় করে দেয়। তারপর মঙ্গলবার আবার൩ জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটি।
আরও পড়ুন: শান্তি কক্ষে শান্তির ꦜখোঁজ করল না কেউ, কোনও অভিযোগ এল না পিস෴ রুমে, চাপে রাজ্যপাল
এই খাবার রাখা ছিল মিড–ডে মিলের জন্য। স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদ🅺ের জন্য খাবার হিসাবে এসব রাখা ছিল। সেগুলি হাতি খেয়ে চলে গিয়েছে। এখানের গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘এবারের হামলা ধরলে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দুবার ভেঙেছে হাতি। আর এবার যেভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভেঙেছে তাতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করা সম্🀅ভব হয়নি পড়ুয়াদের। কারণ একদিকে খাবার নেই অপরদিকে যে কোনও সময় হুড়মুড়িয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ভেঙে পড়তে পারে।’ এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি মেরামত করতে। এখন এই কেন্দ্রে পঠনপাঠনে সমস্যা বাড়ল।