💖 আদালতের নির্দেশে এই বছর বাজি বিক্রি বা ফাটানো, দুটোই নিষিদ্ধ। কিন্তু কতটা মানা হচ্ছে সেই নিষেধাজ্ঞা? সেই হদিস পেতেই ফোন করা হয়েছিল চম্পাহাটির এক বাজির দোকানদারকে। তিনি জানান, ‘বাজি বাজার এবার বসেনি তো কি হয়েছে? বাজি অবশ্যই মিলবে। এলাকায় এসে ফোন দেবেন। আমার কয়েকজন ছেলে আশেপাশে থাকবে। আমি ওদেরকে বলে দেবো নতুন ডেরায় নিয়ে আসতে।’
♔নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেখা গেল চকলেট বোমার বিশাল আড়ত। অল্পবয়েসি ছেলেরা প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরছে শব্দবাজি। প্রতি প্যাকেটে ১০০টি। ওই ব্যবসায়ী বললেন, ‘পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক খারাপ দাদা। পেটের দায়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নতুন করে ছোট কারখানা তৈরি করে চকলেট বোমা বানাচ্ছি।’
ꦆতিনি আরও বলেন, 'কালীপুজোর আগের সাতদিন ধরে ভালই বিক্রি হল। অনেকেই ফোন নম্বর নিয়ে যেতেন। এখন তাঁরাই ফোনে অর্ডার দিচ্ছেন। আতসবাজি বন্ধে চকলেট বোমা বেচে কিছুটা কাজ চালিয়ে নিতে পারব। আমার মতো অনেককেই আশপাশের গ্রামে নতুন ডেরা তৈরি করতে হয়েছে। সুতলি বেঁধেই বোমা প্যাকেটে ভরে ছাড়তে হচ্ছে।'
🌼বিক্রি কেমন হচ্ছে? তাঁর জবাব, ‘কলকাতা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বাজি ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চকলেট বোমা নিয়ে যাচ্ছেন। এবার চকলেটের দাম অনেক বেশি। ১০০ পিসের প্যাকেট ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। কেউ দরদামও করছেন না।’
🍸কিন্তু পুলিশ ধরলে? ব্যবসায়ী হাসতে হাসতে বললেন, ‘কত পুলিশ আছে যে সব গ্রামে টহল দেবে? মূল রাস্তায় নাকা তল্লাশি হচ্ছে। অলিগলিতে কে ধরবে? সেখান দিয়েই তো বারুইপুর পৌঁছে যাওয়া যায়। এখন তো টাটকা অর্ডার অনুযায়ী বাজি তৈরি হচ্ছে। প্রতি বছর যেমন চকলেট ফাটে, এই বছরও তেমনই ফাটবে। দেখবেন।’
༒যদিও বারুইপুর পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় নজরদারি চলছে। প্রচুর চকলেট বোমা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে। সূত্র মারফত খবর নিয়ে অলিগলিতেও নজরদারি চালিয়ে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। কালীপুজোর দিনও সর্বত্র নজরদারি চলবে।’
এখন প্রশ্ন, তাতে কী শব্দবাজি ফাটানো রোখা যাবে?