ভাদ্রের গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। তারইমধ্যে গত কয়েকদিনের লোডশেডিং অস্বস্তি আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমস্যা সমাধান না হলে তিনি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে ধরনায় বসার হুঁꦏশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার লোডশেডিং নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ❀শুক্রবার জলপাইগুড়ি ধুপগুড়িতে তিনি জানান, ট্রান্সফর্মার বদল করা হচ্ছে বলে এই সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'সমস্যা মেট𝄹ান,' লোডশেডিং রুখতে এবার CESC-কে ধমক বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের
উত্তরবঙ্গের সমস্যা প্রসঙ্গে অরূপ বিশ্বাস জানান, পুজোর আগে বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছর সেভাবে বৃষ্টি হয়নি তার ওপর ট্রান্সফর্মার বদল করা হচ্ছে। সেই কারণে এ꧋ই সমস্যা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি জেলায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে। আর তার প্রতিবাদে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ, অবরোধ করছেন স্থানীয়রা। তবে মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, বৃষ্টি কম হওয়া এবং ট্রান্সফর্মার বদলের ফলে এই সমস্যা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মালদার পুরাতন মালদা ব্লকের নিত্যানন্দপুরে বেশ কিছু দিন ধরে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। তার উপরে তিনদিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে গোটা গ্রাম। সেখানে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দিনভর বিদ্যুৎ দফতরের একটি গাড়ি এবং কর্মীদের আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। পুরাতন মালদা ব্লকের নিত্যানন্দপুর, নাগেশ্বরপুর এবং সাহাপুর এলাকায় কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রাম♋বাসীরা।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলাতেও একই অবস্থা। সেখানে বিভিন্ন গ্রামে গত কয়েকদিনে রাত থেকে দফায় দফায় লোডশেডিং হওয়ার ফলে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম জেলার জনজীবন। প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জেলাবাসীদের। লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে কার্যত নাভিঃশ্বাস জেলার মানুষের। শুক্রবার রাতে সেখানে দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে। একদিকে দফায় দফায় লোডশেডဣিং, অন্যদিকে প্রবল হাঁসফাঁস গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে জেলার মানুষের। বহু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।