সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তার জেরে তপ্ত হয়ে ওঠে নবাবের জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে থাকে বিরোধীরা। এই আবহে আধা সেনা এবং পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সিট গঠন করে তদন্ত করতেই উঠে আসে বহিরাগত হামলার তথ্য। তারপর সেখানে পৌঁছে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্ষতিপূরণ দেন। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় উন্নয়ন কেমন হয়েছে? এই প্রশ্ন অনেকেরই। তাই এবার মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন নিয়ে দ্রুত বই প্রকাশ করবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
এই বই প্রকাশ করেই বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেওয়া হবে। আর সাধারণ মানুষ তথা গ্রামবাসীদের কাছে তুলে ধরা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় উন্নয়নের খতিয়ান। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বই প্রকাশের নির্দেশ পাওয়ার পরেই দ্রুততার সঙ্গে ওই কাজ শুরু করেছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলার প্রত্যেকটি সাংসদ, বিধায়ক এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এলাকা ভিত্তিক উন্নয়ন কাজের তথ্য। আগামী একসপ্তাহ ধরে তা চলবে। এই তথ্য সংগ্রহ হয়ে গেলেই বই প্রকাশ করা হবে। তারপর এই বই জেলার প্রত্যেকটি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, স্থগিত নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন!
গত ৬ মে মুর্শিদাবাদ জেলার সূতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা করেন। আর সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী ১৬৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন। তার মধ্যে ৯৩টি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। আর শিলান্যাস করা হয় ৭৪টি প্রকল্পের। এই জেলার নানা কর্মসূচির মধ্যেই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দেন, ‘জেলার উন্নয়ন যা হয়েছে তা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করতে হবে। এই দায়িত্ব আমি অপূর্বকে দিলাম।’ আর দায়িত্ব পাওয়ার পরই কাজ শুরু করেছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
সামাজিক প্রকল্প থেকে শুরু করে উন্নয়ন সবকিছুর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কী কী উপকার পেয়েছেন? সেগুলিও থাকবে এই বইতে। মুখ্যমন্ত্রী এখন ফিরে এসেছেন কলকাতায়। আর তারপরই তথ্য সংগ্রহের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের নেতা–কর্মীরা। সমস্ত তথ্য জোগাড় করে জেলা কার্যালয়ে তা জমা করা হবে। সেটাই পরে সাজিয়ে নিয়ে বই প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা গোটা জেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি। আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের নথি জমা পড়বে। তারপর জেলার উন্নয়ন নিয়ে তৈরি বই প্রকাশিত হবে। সেই বই জেলার প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।’