পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ করে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। আর তাতেই সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছেন দেশের তামাম বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা। হামলার ১৫ দিনের মাথায় এমন যোগ্য জবাব দেওয়ায় দেশবাসী এখন আনন্দিত। সিঁদুরের জবাব পাল্টা সিঁদুরে মেঘ দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পরিকাঠামোয় সরাসরি আঘাত করা হয়েছে। শিলিগুড়ির চিকেন নেকে বসেছে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। এবার জলপাইগুড়িতে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে কার্ফু জারি করল বিএসএফ। সীমান্ত সংলগ্ন বেরুবাড়ি এলাকায় রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসা বা বিশেষ কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাকিস্তানের সেনা পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে। বাংলাদেশ, চিন, নেপাল, ভুটান ঘেরা বাংলার চিকেন নেককে সুরক্ষিত রাখতে কোনওরকম ত্রুটি রাখছে না ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রায় সাড়ে ২২ কিমি দীর্ঘ শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরে বসানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সারফেস টু এয়ার মিসাইল লঞ্চার বা স্যাম বসানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নগর বেরুবারি গ্রাম পঞ্চায়েতের জমাদার পাড়া গ্রামে এই কার্ফুর প্রচার করে বিএসএফ। ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের সবকিছু বুঝিয়ে দিলেন বিএসএফের ৯৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্য়ান্ট মনোজ কুমার।
আরও পড়ুন: শহরে টানা তিনদিন বেসরকারি বাস বন্ধ থাকবে! পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিকদের
অন্যদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এখন যেন আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ না থাকে। সবাই আমরা দেশের পক্ষে। আপনাদের দায়বদ্ধতা আছে। এখন খুব শান্ত এবং সংযত থেকে মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে হবে। যেটা পরিবেশন করা সম্ভব। যাতে কোনও অশান্তি না হয়, কোনও প্ররোচনা না হয়, কোনও হিংসা ছড়ায়।’ এরপর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে কার্ফু নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। সঙ্গে কাজ করছে ভয়ও।
তাছাড়া ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এককাট্টা হয়েছে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইতে তাঁরা এক সঙ্গে আছেন। আজ আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কারণ আজও তিনি ছিলেন না। সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন। তারপরই জারি হল কার্ফু। যা এখন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।