রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া নিউটাউনে। ছেলে এবং মেয়ের মৃতদেহ আগলে রাখল মা। ৫ দিন আগে ছেলে এবং মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। কাউকে কিছু না জানিয়ে তাদের মৃতদেহ আগলে ঘরেই মধ্যেই থাকছিলেন বৃদ্ধা মা। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই বৃদ্ধা মেয়ে এবং ছেলের সঙ্গে নিউটাউনের সিডি ব্লকের ২৫ নম্বর বাড়ির ন’তলার একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। ২০১৯ সাল থেকে ওই তারা ভাড়াতে থাকছিলেন। দিন দুয়েক আগে তার ঘরে গিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু ঘরের দরজা ভিতর থেকে আটকানো থাকায় দরজা খোলা সম্ভব হয়নি। আজ সকালেই ওই বৃদ্ধা নিজেই সাত তলায় গিয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্যের জন্য বলেন। এরপর তার ঘর থেকে পচা-গলা দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। ঘরে ঢুকে তারা দেখতে পান খাটের ওপর পড়ে রয়েছে ছেলে এবং মেয়ের নিথর দেহ। এর পরে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।পাঁচ দিন ধরে মৃতদেহ আগলে রাখেন মা। প্রাথমিকভাবে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। যদিও বৃদ্ধার দাবি, ‘আমি অসুস্থ নয়, ছেলে মেয়ের জন্য ভেঙে পড়েছিলাম।’ তাহলে এতদিন কেটে যাওয়ার পরেও কেন এই ঘটনা কাউকে জানানো হয়নি? পুলিশের এই প্রশ্নের উত্তরে বৃদ্ধা জানান, ‘আমি জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, ফোন নম্বর জোগাড় করতে পারিনি।’ তার দাবি, লালবাজারের মেজো কর্তা অগ্নিশ্বর দত্তকে জিজ্ঞেস করবেন সব জানতে পারবেন।’ এখন দু'জনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।