রেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ক𒉰াঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহত মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমারের পরিবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। এর পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মনু কুমারের পরিবারের লোকেরা জানান, চালক ও সহকারী চালকদের ওপর মানসিক নির্যাতন চালান রেলের আধিকারিকরা। চালকদের মানুষ বলে মনে করেন না ওরা।
আরও পড়ুন - শিশুচুরির গুজ🦹বকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র বারাসতের কাজিপাড়া, আক্রান্ত পুলিশও
পড়তে থাকুন - রাজভবনের সামনে অভিষেকের ধরনার অনুমতি দিয়ে অন্যায় করেছে পুলিশ, আদালতে মানলꦓ রাজ্য
কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির লোকে পাইলটের। আহত অবস্থায় শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাত💟ালে ভর্তি সহকারী লোকে পাইলট। বুধবার তাঁকে দেখতে নার্সিংহোমে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তবে তাঁর সঙ্গে গৌতমবাবুকে দেখা করার অনু⛄মতি দেননি চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মনু কুমারের কুশল জেনে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, মনু কুমারের শারীরিক আঘাতের থেকে মানসিক আঘাত গুরুতর। মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনার অভিঘাতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন তিনি। এর জেরে তাঁকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। ঘুম ভাঙলেই মালগাড়ির প্রয়াত চালকের কথা জানতে চাইছেন মনু। যে সব জায়গায় আঘাত লেগেছে সেদিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে কাঁদছেন। চিকিৎসকরা রেলের আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, এখন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন করা যাবে না মনু কুমারকে। তিনি সুস্থ হলে রেলকে জানাবেন তাঁরা।
এদিন হাসপাতাল থেকে মনু কুমারের সূর্য সেন কলোনির বাড়িতে যান গৌতম দেব। সেখানে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এর পর সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক দাবি করেন মনু কুমারের স্ত্রী কিরণ কুমারী দেবী। তিনি বলেন, ‘দিন দিন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে ও চালকের সংখ্যা কমছে। এর ফলে চালক ও সহকারী চ🐷ালকদের একটানা ৪৮ – ৭২ ঘণ্টা ডিউটি করতে বাধ্য করছেন রেলের আধিকারিকরা। দিনের পর দিন বিশ্রামের অভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’
আরও পড়ুন - গায়ের জোরে দখল করা জমিতে তৃণমূল পার্টি অফিস, ২০ দিনের মধ্যে ভাঙতে ব🥀লল হাইকোর্ট
মনু কুমারের বাবা রঘুনন্দন চৌধুরী বলেন, ‘রেলের চালক ও সহকারী চালকরা কোনও ছুটি পান না। আধিকারিকরা তাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যাবহার করেন। যা মানসিক নির্যাতনের নামান্তর। রেলের আধিকরিকরা চালকদের মানুষ বলে মনে করেন না। টানা ২ দিন ডিউটি করে বা🐓ড়ি ফিরে ঘুমালে মাঝ রাতে ফোন করে ডিউটিতে ডেকে পাঠান। না যেতে চাইলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন আধিকারিকরা। বলেন, এত র൩াতে কি বউয়ের সঙ্গে রোম্যান্স চলছে?’