এখন অনিকেত মাহ🌠াত, অলোক ভার্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশন করতে গিয়ে। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আমরণ অনশন চলছে। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনজন জুনিয়র ডাক্তার। ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আরও ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। আর তার মধ্যেই ‘গণইস্তফা’ দিলেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ৭৭ জন সিনিয়র ডাক্তার। আজ, রবিবার হাসপাতালের রেজিস্ট্রারকে ইমেল করবেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে ৭৭ জনের সই আছে। এই ইমেল পাঠানোর পর সোমবার থেকে তাঁরা𝕴 আর কাজে যোগ দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে একাদশীর দিনেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে যাতায়াতের পথে যানজটের সৃষ্টি হবে। কলকাতা পুলিশ ট্রাফিক সচল রাখতে সব ব্যবস্থা করছে। সাধারণ মানুষকে একবেলা অরন্ধনের আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকার সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করলে আন্দোলন আরও বাড়াবেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর। আর এই বিষয়ে চিকিไৎসকদের গণইস্তফা নিয়ে শনিবাবই রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্ꦚরীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: এবার নয়া কর্মসূচি মেয়েদের ‘রাতের মিটিং’, শহর থেকে গ্রামবাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ
অন্যদিকে এই অবস্থান অনুযায়ী, ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা না দিলে পদত্যাগ হিসাবে সেটা গৃহীত হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগই নয়। যেখানে অভিযোগ লেখা নেই, শুধু কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসকদের সই রয়েছে। এভাবে কোনও পদত্যাগপত্র গৃহীত হতে পারে না।’ পাল্টা ইস্তফাপত্রে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ডাক্তাররা লিখেছেন, ‘৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং🤪 স্বাস্থ্য বিষয়ক ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন করছেন। তাঁদের দাবিগুলি সাধারণ মཧানুষের উপকারের জন্যই। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ভোগান্তি, যন্ত্রণা আমরা সহ্য করতে পারছি না। তাই আমরা ‘গণইস্তফা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার থেকে কার্যকর হবে।’