জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কের ওপর টোটো এবং অটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে পরিবহণ দফতরের। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে দেদার চলছে টোটো, অটো। 🤡তার ফলে যেমন যানজট বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনা। এই অবস্থায় কিছুদিন আগেই বেআইনি যান নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছিল পরিবহণ দফতর। আর তারপরেই এই সমস্ত যান নিয়ন্ত্রণে যৌথ অভিযানে নামল পরিবহণ দফতর এবং পুলিশ। শুক্রবার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং হুগলির পরিবহণ দফতর যৌথভাবে দীর্ঘাঙ্গী মোড় থেকে চুঁচুড়া পর্যন্ত অভিযান চালায়। এই অভিযানে সরকারের নির্দেশ অমান্য করার দায়ে ১৫ টি বেআইনি যান আটক করেছে পুলিশ ও পরিবহণ দফতর।🔥 সেইসঙ্গে বেআইনি যান প্রস্তুতকারী সংস্থাতেও এ দিন যৌথ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: বাসে লোক নেই তাই ব🌱েআইনি টোটো, ই-রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পথে পরিবহণ দফতর
পরিবহণ দফতর আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কে বেআইনি যান কোনওভাবেই চালানো যাবে না। সে নির্দেশ পাওয়ার পরই এদিন হুগলিতে ধরপাকড় চালানো হয়। পরিবহণ দফতরের এক আধ🧸িকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত জাতীয় সড়কে টোটো বা মোটর ভ্যান চলার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ এইসব যান জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে চললে যেমন যানজট বাড়ে তেমনি দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। শুধু তাই নয়, এর ফলে বহু বাস ঠিকমতো যাত্রী পাচ্ছে না। ফলে একাধিক বাস রুট উঠে যাচ্ছে। সেই কারণে পরিবহণ 𓄧দফতরের তরফে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে বেআইনি যান চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রসঙ্গত, হুগলির পরিবহণ দফতরের তরফে এ বিষয়ে টোটো, অটো চালকদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরেও নিয়ম লঙ্ঘন করার দায়ে অভিযান চালিয়ে ১৫ টি বেআইনি যান আটক করে জেলা পরিবহণ দফতর।
এ বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, কিছু কারখানায় এবং গ্যারেজে লোহার ধাঁচ তৈরি করে তাতে মোটর লাগিয়ে টোটো হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ টোটো তৈরির জন্য এই সমস্ত কারখানার কাছে কোনও অনুমোদন নেই। শুধুমাত্র ৭টি সংস্থাকেই টোটো তৈরির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু൩ তারপরেও এভাবেই তৈরি হচ্ছে বেআইনি টোটো, যার ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সাধারণত বহু বেকার যুবক আয়ের জন্য টোটো, ই–রিকশাকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ একবার ব্যাটারি চার্জ করলে এই যানে যাত্রী বহন করা সম্ভব কোনও খরচ ছাড়াই। তাই বেশি আয়ের লক্ষ্যে টোটো কিনছেন বহু মানুষ। পরিবহণ দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ৭ লক্ষ টোটো, ই–রিকশা চলে। ফলে রাজ্যের সর্বত্রই টোটো, ই–রিকশার রমরমা। তবে পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বেকার যুবকদের ব্যবসা বন্ধ করা পরিবহণ দফতরের উদ্দেশ্য নয়। তবে এই সমস্ত যান চলার ক্ষেত্রে একটা শৃঙ্খলা এবং নিয়ন্ত্রণ আনার প্রয়োজন। এ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তাই যে সমস্ত টোটো, অটোচারকরা নিয়ম মানছে না শুধুমাত্র তা🥃দের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।