বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্র অপহরণ কাণ্ডের এবার পর্দাফাঁস। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি ছাত্র। তাঁকে অপহরণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সে কথাই জানান পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ ম♌ুখোপাধ্যায়। পুলিশের এই তৎপরতাই স্বস্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ওড়িশা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে বিশ্বভারতীর ‘অপহৃত’ বিদেশি ছাত্রকে। বীরভূম ও পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ যৌথ অভিযানে মায়ানমারের ওই ছাত্রকে ওড়িশা সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এই বিদেশি পড়ুয়াকে যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকেই গ্রেফত♚ার অপহরণ করা আটজনকে পাকড়াও করা হয়। এরা সবাই পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এছাড়া আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূম থেকে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে বোলপুর থানার পুলিশ। ওই পড়ুয়া মায়ানমারের বাসিন্দা বলে পুলিশকে জানানো হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দর্শন ব🃏িভাগে সংস্কৃত ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। কিন্তু আচমকা নিখোঁজ হতেই অপহরণের অভিযোগ সামনে আসে। ওই উদ্ধার হওয়া পড়ুয়ার নাম পান্নাকারা থাই। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে শান্তিনিকেতনে বসবাস করছেন। এখানে থেকেই পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিদেশি পড়ুয়াকে অপহরণের নেপথ্য রয়েছে কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য। তদন্তে নেমে বীরভূম জেলা তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছে, মায়ানমারের ওই পড়ুয়া পড়াশোনার পাশাপাশি চুল কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই ব্যবসায় টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে তাঁকে ভাড়া বাড♛়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন এই জেলার বাসিন্দা। বাকি ৮ জন পূর্ব মেদিনীপুরের। বিশ্বভারতীর ওই পড়ুয়াকে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের বাড়িতে হাজির তৃণমূল বি🤪ধায়ক, তড়িৎবর💦ণ–রাজ কী কথা?
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিদেশি পড়ুয়ার সঙ্গে বহু কোটি টাকার লেনদেন হয়। মোট ৬ কোটি টাকার ডিল ফাইনাল হয়েছিল। তার মধ্যে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ওই বিদেশি পড়ুয়া এদের ফেরত দিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় বাকি ৫০ লাখ টাকা নিয়ে। যা দেননি। তাই অপহরণ করে ওড়িশার তালসারি সমুদ্রের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিসিটিভি এবং ফোনকল ট্র𒐪্যাক করে সবার খোঁজ পায় পুলিশ। তখন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযান চালানো হয়। এখন ওই পড়ুয়াকে জেলায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে খবর। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুর ও বীরভূম পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা সীমান্ত থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’