মুর্শিদাবাদ দিয়েই জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার যাবেন বাঁকুড়া। তারপর আরও অন্যান্য জেলায় যাবেন তিনি। কারণ ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তাই প্রত্যেক জেলায় কেমন কাজ হয়েছে এবং কী বাকি রয়েছে সবটা সরেজমিনে দেখতে চান তিনি। তারপর বকেয়া কাজ দ্রুত করতে ব্যবস্থা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া জেলা সফরে দ্রুত আসতে পারেন বলে খবর। তার আগে বাঁকুড়া জেলার উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল ভবনে এই বৈঠক হবে। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে শুরু করে বিধায়ক–সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং নেতা–নেত্রীরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে মুর্শিদাবাদে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নানা প্রকল্পের উদ্বোধন শিলান্যাস করেছেন। এবার সেখানে উন্নয়নের কাজ নিয়ে বই প্রকাশ করা হচ্ছে। বাঁকুড়াতেও নানা উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এবার সেগুলি সামনে নিয়ে আসার পালা। আর যা বকেয়া রয়েছে তা দ্রুত শেষ করার সময় এসে গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলাটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখানে আগে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু সেভাবে উন্নয়নের কাজ হয়নি। তারপর সেটাকে সামনে নিয়ে এসে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়। আর হেরে যান সুভাষ সরকার। জেতেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন কেমন হয়েছে? উন্নয়নের বই প্রকাশ করবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস
অন্যদিকে এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নানা উন্নয়নের কাজ হয়েছে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে। সেগুলি মানুষ দেখতে পাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু সেসবের সেভাবে প্রচার হয়নি। আর কিছু কাজ যা মানুষের স্বার্থে হচ্ছে সেগুলি কিছুটা বকেয়া রয়েছে। এই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতেই এখানে আসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘মে মাসের শেষ অথবা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া জেলায় আসতে পারেন। এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। এই জেলার উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। তাই এখন থেকে আমাদের সবকিছু নিয়ে তৈরি থাকতে হবে। তাই আমরা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আজ বৈঠক ডেকেছি।’
এছাড়া বাঁকুড়া জেলা থেকে বেশ কিছু মানুষজন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন এবং ফোন করেছেন বলে সূত্রের খবর। সেই সব তথ্য মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন বলেই জানা যাচ্ছে। তা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা এই প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন তাঁরা উত্তর দেবেন। সন্তুষ্ট না হলে মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়বেন। এই বিষয়ে সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী জেলার উন্নয়ন করতে প্রত্যেকবার একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেন। আগে তাঁর ঘোষণা করা প্রকল্পগুলি কী অবস্থায় আছে, সেটা জানতে চাইব। প্রয়োজনে বৈঠক শেষে প্রকল্পগুলি পরিদর্শন করা হবে। আমরা তা দেখে রিপোর্ট তৈরি করব।’