মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগে মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা কবলিত জাফরাবাদ গ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, রবিবার রাতে তালা ভেঙে নিহত হরগোবিন্দ দাসের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সময় বন্ধ ছিল পথবাতি ও দাঙ্গার পরে সেখানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা। এই ঘট▨নায় সোমবার সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জাফরাবাদ গ্রামে। স্থানীয়দের ♏দাবি, অবিলম্বে গ্রাম থেকে পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে সেখানে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করা হোক।
মুর্শিদাবাদ দা🅘ঙ্গায় জাফরাবাদ গ্রামে বাড়ি থেকে বার করে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস নামে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছিল তাদের। সেই ঘটনার পর থেকে ভাঙা দরজাটি ওই অবস্থা🔯তেই ছিল। ওদিকে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় সম্প্রতি কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরের একটি আশ্রয়ে চলে আসেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। ফলে জাফরাবাদের বাড়িতে ছিল না কেউ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে সেই বাড়িতে হানা দেয় কেউ বা কারা। বাড়িতে ঢুকে তালা ভাঙে তারা। এর পর ভেঙে যাওয়া সদর দরজা মেরামত করে দিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। বন্ধ ছিল হরগোবিন্দ দাসের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা। এমনকী স্থানীয়দের বাড়ির দরজা বাইরে থেকে শিকল তুলে দেওয়া হয় বলেল অভিযোগ। এমনকী হরগোবিন্দ দাসের বাড়ির ১টি বাড়ি পরে অন্য এক ব্যক্তির বাড়িতে গোটা রাত পাহারায় ছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। কে বা কারা হরগোবিন্দ♏ দাসের বাড়িতে এসেছিল বলতে পারছেন না তাঁরাও। স্থানীয়দের দাবি, এই কাজ পুলিশের। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে হিংসার সব চিহ্ন মুছতে দরজা মেরামত করেছে তারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘পুলিশের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। পুলিশই এসব করাচ্ছে। এখান থেকে পুলিশ সরিয়ে নিক। আমরা ꦬস্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। তার ব্যবস্থা করুক।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘আমি ওদিকে একটি বাড়ির দায়িত্বে ছিলাম। এদিকে কী হয়েছে বলতে পারব 𒈔না। এদিকে যারা দায়িত্বে ছিল তারা বলতে পারবে।’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাফরাবাদে নতুন করে পুলিশের𒈔 ওপর অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থা𒁏নীয়রা।
বলে রাখি, শনিবার বিধাননগরে আশ্রয় নেওয়া হরগোবিন্দ দাসের পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই দাবি করে বিধাননগরের ওই বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢোকে পুলিশ। যদিও💎 হরগোবিন্দ দাসের স্ত্রী ও পুত্রবধূ জানিয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় ওই আশ্রয়ে রয়েছেন।