রেলের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্তকরণ নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধল বারাসত – বনগাঁ শাখার অশোকনগর রোড স্টেশনে। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের পর লাঠি চালাল পুলিশ। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে রেল লাইনের খোয়া ছুড়লেন অবরোধকারীরা। ঘটনার জন্য শিয়ালদার DRMকে দায়ী করেছেন যাত্রীরা।ঘটনার সূত্রপাত বনগাঁ - মাঝেরহাট লোকালের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্তকরণ নিয়ে। পুজোর বিসর্জন, ছট ও দেব দীপাবলির জন্য অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বেশ কয়েকদিন চক্ররেল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তার জেরে সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রাপথ। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, বনগাঁ থেকে ৭টা ৩০ মিনিটের মাঝেরহাট লোকালের যাত্রাপথ মাঝেমাঝেই সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। কিন্তু আগে ট্রেনটি কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত চালানো হত। এখন ট্রেনটির যাত্রাপথ বারাসতেই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অন্য ট্রেন ধরে গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক হ্যাপা পোহাতে হচ্ছে তাদের।শুক্রবারও মাঝেরহাট লোকালের যাত্রাপথ বারাসত পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল। ৮টা ১৪ মিনিটে ট্রেনটি অশোকনগর রোড স্টেশনে পৌঁছলে অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, অন্তত দমদম জংশন পর্যন্ত চালাতে হবে ট্রেনটিকে। এই দাবিতে লাগাতার চলতে থাকে অবরোধ। খবর পেয়ে পৌঁছয় জিআরপি ও অশোকনগর থানার পুলিশ। বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা চালাতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু ট্রেনের যাত্রাপথ দমদম জংশন পর্যন্ত না করলে অবরোধ তুলতে রাজি ছিলেন না যাত্রীরা। ওদিকে স্টেশনের সামনেই রেল গেট অবরোধ করে রাখায় যশোর রোডেও বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তৈরি হয় ব্যাপক যানজট।প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ চলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লাঠি হাতে অবরোধকারীদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। পালটা রেল লাইনের খোয়া ছুড়তে শুরু করেন যাত্রীরা। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। লাঠি নিয়ে অবরোধকারীদের তাড়া করে পুলিশ। মিনিট দশেক পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ অশোকনগর রোড স্টেশন থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। অবরোধ ওঠে যশোর রোড থেকেও।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে কলকাতা পুলিশের তরফে চক্ররেল পরিষেবা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়েছিল। আমরা সেই অনুরোধ মেনে বন্দোবস্তো করেছি। যাত্রীদের সমস্যা হয়ে থাকলে তা জানানোর পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু অবরোধ করে অব্যবস্থা তৈরি করাটা কোনও সমাধান নয়।’