বাসের পর কলকাতার রাস্তায় ঘুরল অটো রিকশর চাকাও। সরকারের পূর্বঘোষণা মতে বুধবার থেকে রাস্তায় নামল আম আদমির ভরসা অটো। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে এদিন অটো চালানো শুরু হয়েছে কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন রুটে। তবে ভাড়াও বেড়েছে কিছুটা। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছিলেন, ২৭ মে থেকে কলকাতায় চলবে অটো রিকশ। খুলবে ফুটপাথের দোকান। সেই মতো এদিন বিভিন্ন রুটের অটো রিকশ চালকরা স্ট্যান্ডে অটো নিয়ে আসেন। সরকারি নির্দেশ অনুসারে ২ জন করে যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে অটো রিকশ। সামনে বসানো যাবে না কোনও যাত্রীকে। সেই সব নিয়ম মেনে এদিন অটো চলাচল শুরু হলেও যাত্রী সংখ্যা ছিল নেহাতই কম।করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করেছেন চালকরা। মুখে রয়েছে মাস্ক। হাতে গ্লাভস। ঘনঘন ব্যবহার করছেন স্যানিটাইজার। ওদিকে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় অটোর ভাড়া কিছুটা বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন চালকরা। কোথাও ১০ টাকা ভাড়া বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা। ১৫ টাকা ভাড়া হয়েছে ২০। কিন্তু রাস্তায় মানুষ কম থাকায় ভাড়া বাড়াতেও সাহস পাচ্ছেন না অটো চালকরা। বুধবার সকাল ৬টা থেকে কলকাতা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিভিন্ন রুটে চলতে শুরু করেছে অটো। শিয়ালদা, উলটোডাঙা, শোভাবাজার, রাসবিহারী, হাজরার মতো অটো রিকশ অধ্যুষিত এলাকায় স্ট্যান্ডে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যানগুলিকে। শোভাবাজার – উলটোডাঙা রুটের অটো চালক রমেন পাহাড়ি বলেন, ‘প্রায় ২ মাস বসে ছিলাম। অন্তত কাজে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। তবে রাস্তায় লোকজন এত কম যে ২ জন করে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে লাভ হবে কি না জানি না।’হাজরা-বন্ডেল রোড রুটের অটো চালক মহম্মদ ইমতেয়াজ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে সাবধানে গাড়ি চালাচ্ছি। মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি নিয়মিত।’সরকারের তরফে জানানো হয়েছে রাত ৭টা পর্যন্ত চালানো যাবে অটো। তবে সন্ধে ৬.৩০টার মধ্যেই তাঁরা পাত্তাড়ি গোটাবেন বলে জানিয়েছেন অটো চালকরা।