আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তার জেরে ওই হাসপাতালে💧র জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নামেন বিচারের দাবিতে। তাতে সাড়া দেয় অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠন। ফলে আন্দোলনের বৃত্ত বড় আকার নেয়। আর সিনিয়র চিকিৎসকরা তাতে সমর্থন জানান। ক্রমেই সেই আন্দোলন হাসপাতাল চত্বর ছাড়িয়ে রাজপথে চলে আসে। যে মঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমর্থন করে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে। তাঁদের দাবি মেটাতে বৈঠকে বসেন। আর পাঁচ দফা দাবির চারটিই মেনে নেন। কিন্তু এই আন্দোলনকে নিজেদের কাজে লাগাতে মাঠে নেমে পড়ে সিপিএম–বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে বিজেপি তাতে বিশেষ লাভ করতে পারেনি। বরং সিপিএম ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক নেতা নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়🍬ের সঙ্গে কুণাল ঘোষের বৈঠক নিয়ে এবার সোচ্চার হলেন বিজেপির যুব নেতা।
আজ, শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি যুব মোর্চার সহ–সভাপতি কুণাল ঘোষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। চিকিৎসক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। বিজেপির এই নেতা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীও। ফলে এই বৈঠক তিনি ভালভাবে নেননি। এই বৈঠকের নেপথ্যে অন্য কোনও গল্প আছে বলে তিনি মনে করেন। তাই এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী সন✱্দেহ প্রকাশ করেছেন। একদিকে কুণাল ঘোষের সিবিআই দফতরে যাওয়া অপরদিকে সিনিয়র চিকিৎসকের সরাসরি এসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সঙ্গে বৈঠক করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
দ্বিতীয়বার ১০ দফা দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার মধ্যে ৭টি দাবি মেনে নেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু তারপরও দেখা গিয়েছে, আমরণ অনশন এবং দ্রোহের কার্নিভাল। কিছুতেই এই অচলাবস্থা কাটছিল না। এবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে অচলাবস্থা কাটার আশার আলো দেখা দিয়েছে। বাম জমানায় আরজি কর হাসপাতালে সৌমিত্র বিশ্বাসের ঘটনা সামনে আসায় চাপে পড়ে গিয়েছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। যিনি এই আন্দোলনের এখন সামনের সারিতে আছেন। আর চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ আছে। যার ফলে চাপ বাড়ছিল। তাই কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক বলে মনে করেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আক্রান্ত প্রথম বর্ষের ছাত্র, উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ
এবার এই গোটা বিষয়টিতে বিজেপি কোনও ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। তার উপর ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সামনে। এই আবহে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘꧃দুপুরের দিকে কুণাল ঘোষ একটা অভিযোগ করলেন সিবিআই দফতরে এক ডাক্তারের নামে এবং ঠিক বিকেল বেলা ডাক্তার নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটলেন কুণাল ঘোষের অফিসে। নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের এক কর্মী যে নিজেকে সাংবাদিক বলে কয়েকদিন আগে একটা রিপোর্ট করেছিল না? জেনিথ হাসপাতাল নিয়ে কিছু একটা শুনেছিলাম মনে হয়। যাই হোক কুণাল ঘোষ গুরুদেব জিনিস এটা মানতেই হবে।’