বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ২০২৪ সালের এই সাধারণ🐎 নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এগোতে চাইছে বিজেপ꧙ি। বাংলা থেকে বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই বঙ্গ সফরে এসেছেন অমিত শাহ, জেপি নড্ডারা। রাজ্যে এসে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ তৈরি করে দিলেন অমিত শাহ। ১৫ জনকে নিয়ে সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির যে কোর কমিটি আছে, তার সব সদস্য জায়গা পেলেন না নির্বাচনী কোর টিমে। এমনকী চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও জায়গা পাননি। আজ, মঙ্গলবার এই বৈঠক হয় বিধাননগরের হোটেলে।
এদিকে এবার বিজেপির ১৫ জনের নির্বাচনী কমিটি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারা থাকছে এই কমিটিতে? সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তী, লকেট চট্টোপাধ🐬্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, অমিত মালব্য়, মঙ্গল পাণ্ডে, সতীশ ধন্দ, আশা লাকড়া, জ্যোর্তিময় মাহাত এবং দীপক বর্মণ আছেন বলে সূত্রের খবর। জোর চর্চা শুরু হয়েছে সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, জন বারলা এবং নিশীথ প্রাඣমাণিক না থাকায়। এই চার মন্ত্রী এবার টিকিট পাবেন কিনা তাই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। মিঠুন চক্রবর্তী, স্বপন দাশগুপ্ত, মনোজ টিগ্গা, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবশ্রী চৌধুরী এই টিমে জায়গা পাননি।
অন্যদিকে বাংলায় টার্গেট লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন। শুভেন্দু, সুকান্তদের নিয়ে ১৫ জনের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট 🐈টিম গড়লেন শাহ–নড্ডা। দলে থাকবেন ৫ কেন্দ্রীয় নেতাও। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু সেটা কেমন করে সম্ভব তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট টিম কাজের রূপরেখা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে। চারজন কেন্দ্রীয় অবজারভার হলেন— সুনীল বনশল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া এবং মঙ্গল পান্ডে। বাকি ১১ জন রাজ্যের নেতা–নেত্রী।
আরও পড়ুন: জানু্য়ারি মাসেই রেশন ধর্মঘটের ডাক দিল💧েন ডিলাররা, সমস্যা পড়বেন গরিব মানুষ
তবে এই টিমের কাজ হবে নির্বাচন বিষয়ক সব কাজ দেখা। কোথায়, কেমন করে প্রচার হবে, কোন কোন কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্যে আসবেন সব ঠিক করার দায়িত্ব থাকবে এই নেতাদের কাঁধেই। বুধবার বিজেপির রাজ্য কমিটি বৈঠকে বসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। আজ প্রথমে মহাত্মা গান্ধী রোডের বরা শিখ সঙ্গত গুরুদ্বারে যান দু’জনে। এরপর কালীঘাট মন্দিরে। দুপুরে নিউটাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট🐓্রমন্ত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। বৈঠকে ছিলেন ১৫ জন। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ২০ বিধায়কের নাম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কয়েকজন বিধায়ক টিকিট পেতে পারেন, তাহলে বাদ পড়তে হবে কয়েকজন সাংসদকে।