শাহজাহানকে এখন হেফাজতে পেয়েছেন সিবিআই অফিসাররা। সন্দেশখালিতে এখন বারবার যাচ্ছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার–শুক্রবার দফায় দফ🌊ায় তল্লাশি চালানো হয় শাহজাহানের বাড়ি। আর সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আকুঞ্জিপাড়ার বাসিন্দাদের। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁরা নাগালে পাননি শাহজাহানের দুটি মোবাইল ফোন। গোয়েন্দা কর্তারা মনে করছেন এই দুটি ফোন হাতে পেলেই শাহজাহান লুকিয়ে থাকার সময় কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন সেই তথ্য মিলবে। এই মোবাইল ফোন পুলিশের শীর্ষ কর্তার কাছে আছে বলে আজ, শনিবার বিস্ফোরক তথ্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে শেখ শাহজাহানকে। আর এখন শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। শাহজাহানকে হাতে পেলেও তাঁর মোবাইল পাননি সিবিআই অফিসাররা। তাই শাহজাহানের মোবাইল কোথায়? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের ౠবাড়িতে তল্লাশি করতে যায় ইডি। সেখানেই শাহজাহানের সাঙ্গপাঙ্গরা ইডি অফিসারদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শাহজাহান ফোন করে আক্রমণ সংগঠিত করেছিল বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। কারণ ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখেই ইডি অফিসাররা নিশ্চিত হন তখন বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান। তারপরেই বেপাত্তা🌌 হন। ৫৬ দিন পর তাঁকে ধরা গেলেও দুটি মোবাইল ফোনের খোঁজ নেই। আর আজ এই বিষয়ে সিবিআই অফিসারদের খোঁজ করতে বলেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে এমন আবহে এক্স হ্যান্ডেলে সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে বিস্ফোরক পোস্ট করেন শুভেন൩্দু অধিকারী। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আজ এক্স হ্যান্ডেলে দাবি🙈 করেন, শাহজাহানের আইফোন থ্রি পুলিশই নিয়ে রেখেছিল এবং উচ্চপদস্থ অফিসারদের হাতে সেটা তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেটি পুলিশের হাতেই রয়েছে নাকি তা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে তা জানতে সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে আর্জি জানাচ্ছি। এই দাবি করার পর আরও হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ শুভেন্দু অধিকারী একজন পুলিশের নামও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: 🌱হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা! 🌳১১ জন বিধায়ক উত্তরাখণ্ডে
সুতরাং গোট൩া বিষয়টি তাঁর জানা বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। শাহজাহানের আইফোন থ্রি আমিনুল বলে এক পুলিশ অফিসার নিয়েছেন। আর পুলিশের শীর্ষ কর্তার হাত তা তুলে দিয়েছেন বলে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী মোবাইল নম্বর—৯৭৩৩৮ ০৪৫০৬ শেখ শাহজাহান ব্যবহার করত বলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। এছাড়া শাহজাহান লুকিয়ে থাকার সময় কাদের ফোন করেছেন সেই তালিকা পাওয়া যাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার কাছ থেকে। কিন্তু মোবাইল না পেলে জানা যাবে না শাহজাহানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিষয়ে। দুটি মোবাইল ছিল শেখ শাহজাহানের বলে খবর।