একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমানতকারীর জমা রাখা টাকা গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ এবং অন্যদিকে স্থানীয় থানার বিরুদ্ধে অকর্মণ্যতা ও গাফিলতির অভিযোগ - একটি নির্দিষ🤡্ট মামলার প্রেক্ষিতে এই দুই অভিযুক্ত পক্ষের বি🐠রুদ্ধেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ - সিআইডি-কে তদন্তর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই পুরো মামলায় প্রশ্নের 🃏মুখে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ডাকঘর এবং জামালপুর থানা। দুই পক্ষের কীর্তিকলাপ দেখে রীꦺতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে জামালপুর ডাকঘরে স্থায়ী আমান🌠ত হিসাবে ১২ লক্ষ টাকা জমা রাখেন পেশায় মৃৎশিল্পী রণজিৎ পাল। ২০২২ সালে তাঁর স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হন। সেই সময় মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ওই জমা টাকা তোলার জন্য পোস্ট অফিসে যান রণজিতের ছেলে সুরজিৎ পাল।
অভিযোগ, পোস্ট অফিস এবং আরও নির্দিষ্ট করে বললে সেখানকার পোস্টমাস্টার সেই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন! এরপর গোটা ঘটনা জানিয়ে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুরজিৎ।🥂 কিন্তু, তারপর প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও থানা এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা রুজু করেন সুরজিৎ।
সেই মামলা চলꦫাকালীন ডাকঘর ও পুলিশের ভূমিকায় একইসঙ্গে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, পোস্ট অফিস একটি কেন্দ্রীয় সরকারি ব্যবস্থাপনা। সেখানেও যদি আমজনতার আমানত স💖ুরক্ষিত না থাকে, তাহলে আর কোথায় থাকবে? এরপর মানুষ কোথায় যাবে?
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারির শুনানিতে আদ🎐ালত জামালপুর থানার কাছে জানতে চেয়েছিল, তা🐼রা এত দিন ধরে এই মামলার কী তদন্ত করেছে? কী কী পদক্ষেপ করেছে? সেই সবকিছু আদালতকে জানাতে হবে। একইসঙ্গে মামলার কেস ডায়ারিও আদালত চেয়ে পাঠায়। বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে তাদের বক্তব্য জানানো হয়। যা শুনে মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি ঘোষ।
এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, এবার এই মামলার তদন্ত করবেন এডিজি সিআইডি। তবে তিনি শুধুমাত্র জামালপুর ডাকঘর নয়, একইসঙ্গে জামালপুর থানার ভূমিকাও তদন্ত করে দেখবেন। কোন কারণে পুলিশ আধিকারিকরা তদন্তে ঢিলেমি দিলেন , সেই বিষয়ে ✅তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। গোটা তদন্ত শেষ করতে হবে আগামী ছ'মাসের মধ্যে।