দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বচসা। আর সেই বচসা পরিণত হল রণক্ষেত্রে। দফায় দফায় কখনও চলল অটোতে ভাঙচুর, আবার কখনও চলল দোকান ভাঙচুর। বুধবার দুপুরে এভাবেই অটোচালকদের সঙ্গে স্থানীয় হকারদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো গড়িয়ার ৫ নম্বর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন অটো স্ট্যান্ড। একাধিক অটো এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে চারটি রুটের অটো চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে রেখেছেন অটো চালকরা। যার ফলে বুধবার দুপুরের পর থেকেই এলাকায় যাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানে অবস্থিত শহীদ বেদীর পাশে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে। অটো চালক ইউনিয়নদের অভিযোগ, সেখানে তাদের একটি শহীদ বেদী রয়েছে, যা বহু পুরনো। সেখানেই তারা যাবতীয় অনুষ্ঠান কর্মসূচি করে থাকে। এমনকি সেখানে তারা সম্প্রতি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসও পালন করেছে। কিন্তু, ইদানিং হকার ইউনিয়ন সেখানে বেশ কিছু দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছে। ফলে শহীদ বেদীতে অনুষ্ঠান, কর্মসূচি করতে গিয়ে তাদের সমস্যা হচ্ছে। এ নিয়ে তারা একাধিবার দোকান উঠিয়ে দেওয়ার কথা বললেও তা ওঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, হকারদের অভিযোগ, অটো চালকরা দোকানে ভাঙচুর করে দোকান উঠিয়ে দেয়। যদিও অটো চালকরা অভিযোগ জানিয়েছেন, শুধু দোকান ওঠানোর হুমকি দিতেই একদল যুবক গাড়িতে করে সেখানে এসে একের পর এক অটোতে ভাঙচুর চালায়। এরপরে পাল্টা দোকানে ভাঙচুর চালায় অটো চালকরা। সেখানে পৌঁছায় নেতাজি নগরে পাটুলি থানা পুলিশ। পরে অবশ্য পুলিশ বিষয়টির মিটমাট করে অটো চলাচল স্বাভাবিক করে। কিন্তু, বিকেলের পর আবার একদল যুবক অটোতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ১০ টিরও বেশি অটোতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অটো ইউনিয়নের দেবরাজ রায় অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, ২০-২২ টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ হকার ইউনিয়নের নেতা ভাস্কর সিংহের।যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা রয়েছে অটোচালকদের। তারা দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।