রাজনৈতিক ময়দানে তাঁরা ছিলেন যুযুধান প্রতিপক্ষ। কিন্তু আবার একে অপরকে প্রণাম করতেও দেখেছিলেন। সৌজন্য তখনও ছিল। সৌজন্য এখনও আছে। আর সেটাই ফের দেখালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা দেখালেন প্রয়াত বামফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রতি। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নেটমাধ্যম থেকে পাড়ার চায়ের দোকানে। জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে বড় আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু অতীতেও শ্রদ্ধা জানাতে ভুলতেন না। বর্তমানেও ভোলেননি। যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিশাল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তৎকালিন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে তখন তাঁর আপ্ত সহায়ক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কাল যুব কংগ্রেসের রাইটার্স ঘেরাও আছে। আপনি কী আসবেন? উত্তরে জ্যোতিবাবু বলেছিলেন, কাল যদি আসতে না পারি তাহলে আর কোনদিন রাইটার্সে আসব না। তিনি এসেছিলেন। মহাকরণে পুলিশের মার খেতে হয়েছিল মমতাকে। সেদিন বিরোধী নেত্রী বলেছিলেন, আজ শপথ নিচ্ছি, এই মহাকরণে আবার আসব। তবে মাথা উঁচু করে। উল্লেখ্য, তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। ২০১১ সালে মাথা উঁচু করেই মহাকরণে প্রবেশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নামের তলায় লেখা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তার আগে ২০১০ সালে ১৭ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। আর আজ সেই দিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি বর্মান মুখ্যমন্ত্রী।১৯১৪ সালে ৬ জুলাই পরাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেন জ্যোতি বসু। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলে। এখনও পর্যন্ত তিনিই টানা ২৩ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তবে রাজনৈতিক সৌজন্য বাংলায় অলংকার হিসাবেই রয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতার খবরেও ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁর খোঁজ নিয়েছেন ফোন করে।