একুশের নির্বাচনের শুরু থেকেই মতাদর্শগত পার্থক্য দেখা দিয়েছিল সিপিআইএম–সিপিআইএমএল (লিবারেশন) এর মধ্যে। তাতে ঐক্যবদ্ধ বামফ্রন্ট ধাক্কা খায়। তবে সেই ক্ষত নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা জোট করে এগিয়েছিল। এবার সরাসরি রাস্তায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াল সিপিআইএমএল (ল𓂃িবারেশন)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। রাজ্যে এখন করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুই বর্তমান ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখাল নকশালপন্থী দলটি। 🌟তাতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিকে ঠেকাতে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে বা বিহারে আরজেডির সঙ্গে জোট হলে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে না কেন? এই প্রশ💞্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন সিপিআইএমএল লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তখন জোর সমালোচনা শুরু হয়। বাধ্য হয়ে বাম জোটে ফাটল দেখা দেয়। আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লিবারেশন নেতৃত্ব। ‘নো ভোট টি বিজেপি’ বলে প্রচার চালায় তারা।
কিন্তু রাস্তায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন ভালভাবে নেয়নি আলিমুদ্দিন। তার প্রমাণ চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতারের পর আলিমুদ্দিনের বিবৃতি। বামফ্রন্টগতভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়। রাতে আলাদা করে লিবারেশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে আসে। এরই মধ্যে করোনা বি✱ধিনিষেধকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে রাজ্যের শাসকদলের পাশে দাঁড়ায় লিবারেশন নেতৃত্ব। এটাও হজম করতে পারেননি আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা।
তবে লি✅বারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পཧাচ্ছে। তখন সদ্য নির্বাচিত সরকারের উপর প্রতিহিংসা নামিয়ে আনছে কেন্দ্র। তাই জন্য সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কিন্তু কেন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায়? দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যবাসীকে বিজেপি–আরএসএসের এই চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ করতে হবে। লকডাউনে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সর্বতোভাবে চেষ্টা চালাতে হবে। তাই রাস্তায় নামতে হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ আলিমুদ্দিন।