তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতি বৈঠকে ডাক পাননি তিনি। কেউ এখন সেভাবে যোগাযোগ রাখেন না। অথচ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। সংসদীয় বিষয়ে এখন নানা আলোচনা হলেও ꧃তিনি ব্রাত্য। কারণ তাঁর♚ মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। যা কার্যত দলবিরোধী। আর তাই দলের সঙ্গে তিনি দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বলেই সূত্রের খবর। রাজ্যসভায় দ্বিতীয় সারিতে এখন আর বসতে চান না তিনি। রাজ্যসভায় আসন বদলাতে চেয়ে এবার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় মুখ খুলেছিল🌊েন সুখেন্দুশেখর রায়। আর তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হয়েও সম্প্রতি দলের বৈঠকে ডাক পাননি সুখেন্দু। এবার রাজ্যসভায় নিজের আসন বদলের জন্য চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিলেন। লাস্ট বেঞ্চে যেতে চাইছেন তিনি। এরপর কি অন্য গন্তব্য? শুরু গুঞ্জন। ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সা💫ংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের ঠিক পিছনের আসনে বসেন তিনি।
আরও পড়ুন: টয়ট্রেনের হেরিটেজ শিরোপার ২৫ বছর পূর্তি, একাধিক চমকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে
কিন্তু সেই আসনে যেন এখন কাঁটা বিধঁছে। তাই সুখেন্দুর সুখ দ্বিতীয় সারির আসন থেকে শেষের দিকে যেতে চাইছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখে এই সাংসদ জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে তিনি এখন সুস্থ নন। হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই দ্বিতীয় সারির পরিবর্তে পিছনের দিকে সংসদের কক্ষে ঢোকার যে দরজা সেখানে আসনটি সরিয়ে দিলে উপকার হয়। ওখানের কোনও একটি আসন তাঁর জন্য নির্দিষ্ট করা হোক। সু🌌খেন্দুশেখরের মন্তব্যের জেরে লালবাজারে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। তারপর সম্পূর্ণ নীরবতা।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে যখন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বিচার চেয়ে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই এই রাজ্যসভা সাংসদ। তারপর একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অস্বস্তিতে ফেলে দেয় তৃণমূল কংগ্রেসকে। তারপর থেকেই সাইড হতে শুরু করেন সুখেন্দুশেখর রায়। এখন দ্বিতীয় সারিতে বসলে কেউ কথা বলবেন না তাঁর সঙ্গে। তাই সবার মাঝে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই শেষের আসন বেছে নিলে সেই অস্বস্তি কাটানো সম্ভব। এই কারণেই লাস্ট বেঞ্চ বেছে নেওয়া বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা♋।