অসুস্থ ছিলেন বহুদিন ধরেই, এরপর গত শনিবার মাক🍌ে হারান ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ছিল অভিনেত্রীর মা নন্দিতা দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। গত ১৫ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে থাকার পর শেষপর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নন্দিতা সেনগুপ্ত। এরপর আজ বৃহস্পতিবার ছেলেকে পাশে নিয়ে রীতি মেনে মায়ের শ্রাদ্ধের কাজ করেন ঋতুপর্ণা।
মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কিছু ঝলক ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাღপশানে শুধু লিখেছেন ‘মা’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার ইমোজি। ঋতুপর্ণার পোস্ট করা ছবিতে তাঁর পাশে দেখ💝া যাচ্ছে ছেলে অঙ্কন চক্রবর্তী সহ আরও কিছু কাছের মানুষজনকে। প্রসঙ্গত অভিনেত্রীর ছেলে বর্তমানে থাকেন বস্টনে, সেখানেই পড়াশোনা করেনি তিনি। তবে দিদিমার মৃত্যু সংবাদ পেয়েই কলকাতায় মায়ের কাছে ছুটে এসেছেন তিনি।
এদিন অভিনেত্রীর মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর টলিপাড়ার বেশকিছু সহকর্ম�𒐪�ী। দেখা গিয়েছে পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, চৈতি ঘোষাল সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। এদিন ফুল-মালা দিয়ে মায়ে ছবি সাজিয়ে তুলতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। প্রথা মেনে পালন করতে দেখা যায় শ্রাদ্ধের রীতিনীতি।
জানা যায়, বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন নন্দিতা সেনগুপ্ত। কিডনির সমস্যা ছাড়াও বার্ধক্যজনিত আরও নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেওু শেষরক্ষা হয় নি। তবে অভিনেত্রীর আশা ছিলেন তাঁর মা আবারও ফিরে আসবেন। তবে সেটা আর হল না। এদিকে শাশুড়ি মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়েই কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতা ছুটে এসেছিলেন অভিনেত্রীꦅর স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী। ছুটে আসেন পুত্র প্রদীপ সেনগুপ্ত, বৌমা রোসেলি এবং নাতনি শ্রেষ্ঠাও। মায়ের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারে🏅র সমস্ত সদস্যরা।
এর আগে মায়ের মৃত্যু সংবাদ সকলকে জানিয়ে অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় লিখেছিলেন, ‘আমার মা নন্দিতা সেনগুপ্ত আজ দুপুরে চলে গেলেন। আমাদের পরিবারের বন্ধু, আত্মীয়দের অনুরোধ করছি যে তারা সবাই যেন রাত ৮টা নাগাদ ৫বি, রবিনসন স্ট্রিট, কাঞ্চনজঙ্ঘা আবাসꦚনে চলে আসেন। আপনাদের একটাই অনুরোধ যে এই সময় আপনাদের সহমর্෴মিতা ও সহযোগিতাই আমার একমাত্র কাম্য।’