একা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা🍃য় তৃণমূল কংগ্রেস চলবে না, ‘বস’ তিনিই- ঘুরিয়ে কি সেটাই বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আসলে বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে কলকাতায় ফেরার পরে বিমানবন্দরের বাইরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে কি অবস্থান নেবে তৃণমূল? সেটার প্রেক্ষিতে মমতা বল🐎েন, ‘পার্লামেন্টে যা স্ট্যান্ড নেওয়ার সেটা আমাদের ইন্ডিভিজুয়াল কারও ম্যাটার নয়। এই ম্যাটারটা নিয়ে স্ট্যান্ড নেবে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল।’
জিজ্ঞাসা করলে পরামর্শ দেব, বললেন মমতা
সেইসঙ্গে তিনি জানান, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভায় তৃ♎ণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, ডেপুটি সাগরিকা ঘোষ এবং চিফ হুইপ নাদিমুল হকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলে তিনিও ꦇনিজের মতামত দেবেন। আর তিনি যে তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অভিষেকের বৈঠকের পরই মমতার বার্তা
আর মমতা সেই মন্তব্য করেছেন দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে অভিষেকের বৈঠকের পরে। সূত্রের খবর, বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ নির্দেশ দিয়েছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিষয়গুলি ত💛ুলে ধরতে হবে সংসদে। সেইসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি, সারে ভর্তুকির মতো বিষয়গুলিও উল্লেখ করেছিলেন অভিষেক। বলেছিলেন যে কেউ🌄 যেন ব্যক্তিগতভাবে কোনও বিষয় উত্থাপন না করেন।
আরও পড়ুন: কেℱন্দ্রের ♛শাসকদলও তো নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি প্রতিহিংসাপ্রবণ, বাংলাদেশ নিয়ে মমতা
শুধু অভিষেকের সেই দিল্লির বৈঠক নয়, রাজনৈতিক মহলের একাংশ আবার গত সোমবার হয়ে যাওয়া তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের সঙ্গে যোগসূত্র এড়িয়ে যেতে পারছেন না। কারণ সেই বৈঠকের পরে একটি মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল যে অভিষেককে পশ্চিমꦏবঙ্গ থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখা হচ্🥃ছে।
মমতা ও অভিষেক একই বার্তা দিয়েছেন, দাবি তৃণমূলের
যদিও সেইসব জল্পনা উড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘অকারণ বিতর্কের জায়গা নেই। তৃণমূল একটি মানবদেহ হলে, তার প্রাণশক্তি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ছাড়া এই দেহ অচল। অপরদিকে, সেই একই দেহের রক্তের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি প্রতিটি শিরা, উপশিরা বেয়ে দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেন প্রতিনিয়ত। তৎসহ, সেই দেহের 🦂মাংস, মজ্জা ও চামড়া হলেন বুথস্তরের সেই কর্মীরা, যাঁরা সমস্ত ঝড়, জল থেকে এ𒉰ই সমগ্র দেহকে আগলে রাখেন। এই ত্রিশক্তিকে সর্বশক্তিমান ভালো রাখুন, এটুকুই তাঁর কাছে কামনা।’
আরও পড়ুন: বাদ পড়া মুখপাত্রদের ফোন করলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, অভ💧িষেকের নির্দেশে পদক্ষেপ
আর দেবাংশুর সেই কথার ꦑরেশ ধরেই একাংশ দাবি করেছেন, মমতা বৃহস্পতিবার যে বার্তাটা জনসমক্ষে দিয়েছেন, সেটাই বুধবার দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে দেন অভিষেক। অর্থাৎ কেউ যেন আগ বাড়িয়ে কিছু করতে না যান। দলের সামঞ্জস্য বজায়🥀 রেখেই পা ফেলার বার্তা দেন তৃণমূল সাংসদ। যে বার্তার প্রতিধ্বনি বৃহস্পতিবার মমতার গলায় শোনা গিয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূলের একাংশ।