মহম্মদ ইউনুস সরকার-বিরোধী মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতায়। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশ সম্মꦛিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার শিয়ালদা স্টেশন থেকে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশন পর্যন্ত ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’ মিছিল করে। বেকবাগানের কাছে সেই মিছিল পৌঁছাতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বচসা বেঁধে যায় পুলিশের সঙ্গে। ‘পুলিশ দূর হটো’, ‘হায়, হায়’ স্লোগান উঠতে থাকে। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেইসময় এক পুলিশ অফিসারের মাথা ফেটে যায়। পরবর্তীতে পাঁচজনকে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনে ঢুকতে দেওয়া হয়।
‘বাংলাদেশ শুধরে না গেলে…..', হুঁশিয়ারি সনাতনীদের
তারইমধ্যে ওই মিছিল থেকে চিন্ময় প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তোলেন সনাতনীরা। মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি শুধরে যায়, তাহলে ঠিক আছে। নাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। রাস্ত🌳ায় নামব।’ অপর এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘চিন্ময়ী প্রভুকে যে অন্যায়ভাবে মোল্ল🍸া ইউনুসের সরকার গ্রেফতার করেছে এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে যে নির্যাতন হচ্ছে, (সেটা মেনে নেওয়া যায় না)।’
অপর এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, 'বাংলাদেশে বরাবরই হিন্দুদের উপরে অ🤡ত্যাচার হয়ে এসেছে। কিন্তু মহম্মদ ইউনুস🔯 আসার পরে সেই অত্যাচার অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে যে ছোট-ছোট শিশুদের সামনে তাদের মায়েদের, বোনেদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করে তাঁর উপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে।'
পুরুলিয়াতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে
তবে শুধু কলকাতায় নয়, চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিতে পুরুলিয়ায় 🍌মিছিল করা হয়। মিছিল শুরু হয় পুরুলিয়া রেল স্টেশন থেকে। শহরের একাংশ ঘুরে সেই 🐼মিছিল শেষ হয় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। হিন্দু সচেতনতা মঞ্চের সদস্যরা দাবি করেন যে অবিলম্বে ভারত সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত।
কড়া প্রতিক্রিয়া ভারত সরকারের
এমনিতে ইতিমধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছে ভারত সরকার। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় প্রভুর ▨গ্রেফতারি এবং জামিনের আবেদন খারিজ করে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। তারইমধ্যে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপরে উ༺গ্রপন্থীরা হামলা চালিয়েছে। সংখ্যালঘুদের বাড়ি এবং ব্যবসার জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। চুরি করা হচ্ছে। মন্দিরে ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে উষ্মাপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।