আরজি কর হাস🌃পাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই ফের নতুন করে স্বাস্থ্য দফতরের নানা দুর্নীতির অভিযোগগুলি মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। আর সেই দুর্নীতির প্রসঙ্গেই নাম উঠে আসছে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী চিকিৎসকের কথা। তবে তিনি শুধু একা নন, স্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গ লবির আওতায় থাকা একাধিক চিকিৎসক পোস্টিং, বদলি সহ নানা বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ।
জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার অঙ্কুর দাস হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, আমি ২০২৩ সালে উত্তরবঙ্গের এক স্বাস্থ্যকর্তার বিরুদ্ধে ইডির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। পোস্টিং, নিয়োগ, ছাত্রছাত্রীদের নম্বর বৃদ্ধি করা বা কমানো, জমি কেলেঙ্কারি সহ নানা অনিয়মের পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। আরজি করের ঘটনার পরে কলকাতার একাধিক চিকিৎসক🐭 আমার কাছে ফোন করে গোটা বিষয়টি ফের জানতে চেয়েছেন। এমনকী একটি কেন♏্দ্রীয় এজেন্সি ফের আমার আগের করা অভিযোগগুলি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে উত্তরবঙ্গ লবি বেশ শক্তিশালী বলেই পরিচিত। সূত্রের খবর, আরজি কর তদন্তের আওতায় সেই উত্তরবঙ্গ লবির একাধিক চিকিৎসককে নজরে আনা হতে পারে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে নির্দিষ্ট কয়েকজন ছ়়ড়ি ঘোরান। একটা সময় ছিল যখন আরজি কর আর এনআরএস থেকে যাবতীয় বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করা হত। তবে কোভিডের সময় থেকে দ্রুত এই লবি বদল হতে থাকে। ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গ লবি সক্রিয় হতে থাকে। জলপাইগুড়ির এক চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ খুব দ্রুত স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। এর জেরে স্বাস্থ্যভবনের অন্দরে থাকা কꦗলকাতা গোষ্ঠীর হাত থেকে ক্ষমতার রাশ চলে যেতে থাকে। আর ক্ষমতা ধরে রাখতে সেই সময় থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িও শুরু হয়। তবে কি এবার আরজ💮ি কর কাণ্ডের পরে সেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ চিকিৎসকরাও সিবিআইয়ের নজরে থাকবেন?
আরজি করের সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খ✤ুন করা হয়েছে। এরপর দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড়। সেই সঙ্গেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে যে ঘুঘুর বাসা রয়েছে তাঁদের কথাও ফের নতুন করে সামনে আসতে শুরু করেছে। এমনকী আরজি করের ঘটনার পরে কেন এক প্রভাবশালী চিকিৎসক তড়়িঘড়ি আরজি করে পৌঁছে গিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ত𒅌বে তিনি অবশ্য় যাবতীয় অনিয়মের অভিযোগ আগেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে আগেই অস্বীকার করেছেন।