দীর্ঘদিন ধরে দাবি উঠছে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি তেমনই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চায় না রাজ্যের মানুষের ঘা🧔ড়ে খরচের বোঝা চাপুক। তাই ভাড়া বাড়ানোর পথে হাঁটতে চায়নি রাজ্য পরিবহণ দফতর। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাস মালিকরা হুমকি দিয়ে রেখেছে এভাবে চললে রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব হবে না। এবার বাসের ভাড়া বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করল বিধানসভার এস্টিমেট কমিটি। পরিবহণ দফতরের সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে এই কমিটি একটি রিপোর্ট পেশ করে বিধানসভায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকারি–বেসরকারি সব বাসেরই ভাড়া বৃদ্ধি করা জরুরি হয়൲ে পড়েছে।
এই রিপোর্ট নবান্নে পাঠানো হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। এই বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যখন বাস মালিকরা সোচ্চার হচ্ছেন তখন এমন রিপোর্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৮ সালের ১৮ জুন শেষ বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তারপর থেকে সেই কাঠামোতেই চলে আসছে বলে খবর। কিন্তু মাঝে করোনাভাইরাসের মতো মহামারি আছড়ে পড়েছি🐓ল গোটা বিশ্বে। যার প্রভাব বাংলায় যথেষ্ট পড়েছিল। তারপর বেড়েছে পেট্রল–ডিজেলের দাম। তাই বাস মালিকরা দাবি করে আসছিলেন ভাড়া বাড়ানোর। তাতে শেষবার সম্মতি দেননি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সরকারি–বেসরকারি বাসের ভাড়ার মধ্যে বৈষম্য রয়েꦏছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বাংলায় এখনও সরকারি বাসের ভাড়া খুব কম। সেখানে বেসরকারি বাসগুলি অনেকটা ভাড়া নিচ্ছে। এমনকী ২০১৮ সালে যে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল তা না মেনে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তাতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হলেও দিতে হচ্ছে🎐 বিকল্প না থাকায়। এই নিয়ে একটা যাত্রী অসন্তোষ তৈরি হয়েছে দু’বছর ধরে। অস্বাভাবিক ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করেও লাভ হচ্ছে না। বচসা লেগেই রয়েছে যাত্রী এবং কন্ডাক্টরের মধ্যে। বাসে ভাড়ার কোনও তালিকা না থাকায় বচসা বাড়ছে। এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। কিন্ত তাতে অবস্থা পাল্টায়নি। বরং বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিলের সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বাস ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে দাবি তুলেছেন।
আরও পড়ুন: ‘এমন সৎ রাজনীতিবিদ পไশ্চিমবঙ্গেꦦ খুবই কম’, বুদ্ধবাবুকে দেখে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে ত🥃ৃণমূল কংগ্রেসের ১৬ জন এবং বিজেপির চা🌳রজন বিধায়ককে নিয়ে গঠিত বিধানসভার এস্টিমেট কমিটি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এই কমিটির চেয়ারম্যান। এখানেই সুপারিশ রিপোর্ট প্রথমে জমা পড়ে। তাঁরা মোট ১৫ দফা সুপারিশ করেছেন। তার মধ্যে একটি ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ। বেসরকারি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে সরকারি বাসকে। তাহলে বেসরকারি বাস আর ইচ্ছামতো ভাড়া নিতে পারবে না বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, সব বাসের ভাড়া কি বাড়বে?