রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত চলছিল। এবার সেই সংঘাত মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছতে যাচ্ছে। কারণ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করতে আদালতে যাচ্ছেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুꦿদ্ধে মানহানির মামলা করছেন বলে সংবাদসংস্থা এএনআই–কে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী একটি মন্তব্য করেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল। পরে এক্স হ্যান্ডেলে নিজেই সে কথা জানান।
এদিকে ক๊িছুদিন আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপর নয়াদিল্লিতে বাংলার নৃত্য শিল্পীকে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছিল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। এই দুটি ঘটনায় এফআইআর হয় থানায়। তারপর থেকেই রাজ্যপালের চরিত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাই রাজ্যপাল পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার মিথ্যা কথা বলে আমার চরিত্র হনন করেছেন। এটা মেনে নেব না। উনি সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন। আমি ওর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’ যার প্রবল সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠক করার পর বলেছিলেন, বাংলার মহিলারা রাজভবনে যেতে নিরাপদ অনুভব করছেন না। আসলে রাজভবনে যা সব হচ্ছে। এই মন্তব্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তেতে উঠেছেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘সব ꩲসীমা লঙ্ঘন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার আমার নামে মিথ্যা বলছেন। তিনি আমার চরিত্র হনন করেছেন। এটা মেনে নেব না। আমি মানহানির মামলা করব মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে।’ বরাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শপথ নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। রাজ্যপাল তাঁকে একা রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শপথের জন্য। সেখানে এক💫া যেতে রাজি হননি সায়ন্তিকা। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজভবনে কেন সবাই যাবে? রাজভবনে যা কীর্তি কেলেঙ্কারি চলছে। তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে।’ এতেই বিতর্ক উসকে ওঠে।
আরও পড়ুন: ‘নত♏ুন গাল, চড় খেতে খেতে তো লাল হয়ে গেল’, বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সব্যসাচী দত্ত
এরপরই অ্যাকশন মুডে দেখা যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যপালের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি সবরকম সম্মান দেখাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ‘কনস্টিটিউশনাল কলিগ’। আমি তা কখনওই ভুলি না🍸। আমার চরিত্র নিয়ে এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলতে পারেন না। আমার সম্মানহানি কোনও ভাবেই মেনে নেব না। মিথ্যা দিয়ে এভাবে চরিত্রহনন করার অধিকার ওনার নেই।’ আগে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের সময় বলেছিলেন, ‘রাজভবন নিয়ে যা সব শুনছি। আমি আর ওখানে যাব না। প্রয়োজনে রাস্তায় গিয়ে দেখা করে আসব।’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শাণিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আদালতে যাওয়ার অধিকার সবার আছে। তবে এই মন্তব্য নিয়ে মানহানি হয় না। মামলা করলে তা হারার বেদဣনাও নিতে হবে।’