যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়। র্যাগিংয়ের জেরে প্রাণ যায় এক প্রথম বর্ষের ছাত্রের𝓰। তারপর থেকেই দাবি ওঠে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে লাগাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এই নিয়ে আন্দোলন পর্যন✃্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, ছাত্র পরিষদের সভা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসবেই। কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু এখনও সেই সিসি ক্যামেরার দেখা নেই।
এদিকে এই সিসি ক্যামেরা বসাতে বেশ টালবাহানা করেন নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। খরচের কথা তুলে বাগড়া দেন বলে অভিযোগ। তবে রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে সিসি ক্যামেরা বসেনি বলেই খবর। কিন্তু মঙ্গলবার উপাচার্যের দফতর আর তার সংলগ্ন করিডর এবং সহ–উপাচার্যের ঘরে🅺র সামনে সিসি ক্যামেরা চালু হয়েছে। এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই মনে করছেন ছাত্ররা।
অন্যদিকে গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যায় মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করেছে। ওইদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ক্যাম্পাস ও হস্টেলগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ওয়েবেলকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, প্রয়োজনীয় অর্থ উচ্চশিক্ষা দফতর মঞ্জুর করেছে। কিন্তু নতুন সিসি ক্যামেরা এখনও কেন বসেনি? উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি উপাচার্যে🎃র অঙ্গুলিহেলনে থমকে রয়েছে কাজ?
আরও পড়ুন: ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ কর্মসূচি বিজেপির, সেখানে কি থাকছেন বাংলার রাজ্💟যপাল?
আর কী জানা যাচ্ছে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের চাপে এমন ꦑবিলম্ব বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘নতুন সিসি ক্যামেরার জন্য ওয়েবেল টেন্ডার ডেকেছে। আজ, বুধবার টেন্ডার ডাকার শেষ দিন। তারপর কাজ দ্রুত শুরু হয়ে যাবে। তাড়াতাড়িই সব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ তবে এসএফআইয়ের উদ্যোগে যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বিরোধী কনভেꩵনশনের আয়োজন হয়েছে।