খাস কলকাতার জোড়াসাঁকো থানা এলাকায় ঘটে গেল এক রোমহর্ষক ঘটনা। শ্বাসরোধ করে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের জেরে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবকের নাম মহম্মদ সরফরাজ (৩০)। রবিবার রাতে🤪 মহাত্মা গান্ধী রোডের উপর ফুটপাতের ধারে মাঝবয়সি এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাত ১০টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন জোড়াসাঁকো থানায়। পুলিশ এসে দেহটি ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। আর শুরু হয় তদন্ত।
পুলিশ তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য হাতে পায়। তাতে এই যুবকই ওই মাঝবয়সি ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে তথ্য হাতে এসেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে যখন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তখন তাঁর শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। শরীরে আঘাতের দাগ ছিল বলে পুলিশ সূত্র🗹ে খবর। ফুটপাতের ধার থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হা🉐সপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কেন একজন মাঝবয়সী ব্যক্তিকে খুন করা হল? প্রকাশ্য রাস্তায় এমন খুন হয়ে গেল কেউ দেখতে পেল না? খুনের উদ্দেশ্য কী? এখন এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন পুলিশ অফিসাররা।
আরও পড়ুন: প্রিয়রঞ্জনের মূর্তি বসিয়ে ঘটা করে জন্মদিন পালন তৃণমূলের, নাটক বলে কটাক্ষ দীপার
তবে খুন হওয়া ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কিন্তু ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত নেমে পড়ে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মাঝরাতেই মহম্মদ সরফরাজ নামে যুবককে শনাক্ত করে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। ফুটপাতের ধারে মাঝবয়সি ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। ওই সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই সরফরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সরফরাজের বাড়ি কলকাতার এমএম বর্মণ স্ট্র🤡িট এলাকায়। তার কাছ থেকে একটা গামছা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সম্ভবত ওই গামছা দিয়েই শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল।