বাড়ির সামনেই ফুটপাতে চেয়ার পেতে বসেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। আচমকাই একটি বাইক এসে থামল। তার থেকে নেমে এক দুষ্কৃতী সুশান্তকে লক্ষ্য করে বন্দুক উঁচিয়ে ধরে আছে। গুলি চালানোর চেষ্টা করেও অবশ্য সে সফল হয়নি। এই আবহে সুশান্তের পাশে থাকা একজনের তাড়া খেয়ে সেখান থেকে পালয় দুষ্কৃতীরা। এমনই হাড় হিম করা দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। আর কসবা কাণ্ডের সেই সিসিটিভি ফুটেজ এখন ভাইরাল। (আরও পড়ুন: ক্লডিয়াস-নীরজদের ভুলে বসলেন মমতা? বললেন, 'ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে স♌োনা পায়নি')
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন🌃 বিমান বসু, ফিরলেন পার্টি অফিসে🍎 নিজ বাসস্থানে
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তাঁকে গুলি করে খুন করার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এরই সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে সুশান্তের বাড়ির সামনের সেই সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা গিয়েছে, সুশান্ত ঘোষ যখন বাড়ির সামনে বসেছিলেন, তখনই এই দুষ্কৃতীরা তাঁর সামনে আসেন। তৃণমূল নেতার দিকে বন্দুক উঁচিয়ে খুব কাছে গিয়ে গুলি চালানোর চেষ্টা করে এক দুষ্কৃতী। দাবি করা হয়, সেই দুষ্কৃতী যখন বন্দুকের ট্রিগার চাপে, তখন ট্রিগার লক হয়ে যায়। পরে তাড়া খেয়ে দুষ্কৃতীর হাত থেকে বন্দুক পড়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলি ছিটকে গিয়ে লাগে বাড়ির দরজায়। এরপরই চিৎকার চেঁচামিচিতে আশপাশের এলাকার লোকজন ছুঁটে আসেন। তখনই তাঁরা ধরে ফেলেন দুষ্কৃতীদের। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পরই ওই দুষ্কৃতীদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ঘটনার জেরে স্বভাবতই আতঙ্কে রয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। সুশান্ত ঘোষ বলছেন, ‘যে এসেছিল সে বাচ্চা ছেলে। পুরো নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আসে।’ তিনি বলছেন, যে ধরনের অস্ত্র ওই দুষ্কৃতী এনেছিল তাতে মনে হচ্ছে, কোনও প্রফেশনাল ব্যক্তি এর পিছনে রয়েছেন। (আরও পড়ুন: হাসপাতালের নবজা❀তক বিভাগে আগুন, মর্মান্তিক মৃত্যু ১০ সদ্যজাত শিশুর)
আরও পড়ুন: রানওয়ের পাশে অ𝓀কেজো ট্র্যাক্টর, কলকাতা থেকে উড়ে যাওয়া বিমানের অবতরণে বিলম্ব
এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কসবা কাণ্ডের নেপথ্যে দলীয় গোষ্ঠীদন্দ্ব? উল্লেখ্য, ক'দিন আগেই কালীপুজোর সময় মণ্ডপ উদ্বোধন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কসবার হালতু অঞ্চলে। সেই ঘটনায় নাম উঠে এসেছিল তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না এবং সুশান্ত ঘোষের। অভিযোগ উঠেছিল, হালতুর নবীন সঙ্ঘ ক্লাবের কালীপুজোর প্যান্ডেলের ভাঙ💃চুর চালিয়েওছিল ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীরা। ক্লাব সদস্য সমীরণ সাহা ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল লিপিকার গাড়ির চালকের। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, সুশান্তকে দিয়ে পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করানোর জেরেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। হেনস্থার শিকার হওয়া সমীরণ সুশান্ত ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা হয়েছিল। এই আবহে শহরের বুকে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল। আর এবার সেই সুশান্তকেই গুলি করে খুন করার চেষ্টা করা হল তাঁরই বাড়ির সামনে।