দীপাবলির পর এই প্রথম শোনা গেল, কলဣকাতা–হাওড়ায় বাতাসের মান ভালো। দূষণের দিক থেকেও গত বছরের তুলনায় এই বছর বাতাসের মান ভালো। ♛কারণ কলকাতা হাইকোর্ট এই বছর বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যে বাজির শব্দে কানে তালা পড়ে যেত, এবার তা কার্যত হয়নি বলেই খবর। তবে একেবারে ফাটেনি তাও নয়। তবে গত বছরের তুলনায় কম।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর, দীপাবলির রাতে প্রতি বছর ꦜদূষণের মাত্রা পৌঁছয় ৯ থেকে ১৩ গুণ বেশি। সেখানে এই বছর ছিল ২.৫। যা নিতান্তই কম। ২০১৯ সালে সেই মাত্রা ছিল অনেক বেশি। গত বছর ৭৬৮ মাইক্রোগ্রাম প্রতি মিটারকিউব ছিল দীপাবলির রাতে। আর এই বছর তা হয়েছে ১৮৫ প্রতি মিটারকিউব। এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক।
এবার কলকাতা হাইকোর্ট কালীপুজো, দীপাবলি এবং ছটপুজোয় বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করেছে। নভেম্বরজুড়ে গোটা রাজ্যে বাজি ফাটানো যাবে না। করোনাভাইরাস আবহে বাজি ফাটানো এবং বিক্রি নিষিদ্ধের রা♉য়কে বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টও। জীবনের সুরক্ষা সবচেয﷽়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই মহামারী পরিস্থিতিতে। একই সঙ্গে হাওড়ার বাতাসের মানও অত্যন্ত নিরাপদ গত বছরের তুলনায়। তাছাড়া এই বছর দীপাবলি বেশ খানিকটা দেরিতে পড়েছে। রাতের দিকে ঠান্ডা বেড়েছে। সবমিলিয়ে অনেকটা নীচে রয়েছে দূষণের মাত্রা বলে জানান ওই আধিকারিক।
পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন খুব সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। বাতাসে দূষণ মাত্রা বেড়ে গেলে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে। করোনা আবহে বাতাসের মান ভালো থাকাটা খুব জরুরি। দূষণ থেকে ফুসফুস সংক্রমিত হয়ে পড়ে। তা থেকে নি✨উমোনিয়া এমনকী করোনাভাইরাস পর্যন্ত হতে পারে। তবে বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় কলকাতায় শব্দ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।