কলকাতার রাস্তায় বহু বেসরকারি বাস চলছে, যেগুলির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভাঙার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিছু কিছু বাসের বিরুদ্ধে আবার কয়েকশোর কাছাকাছি মামলা রয়েছে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙার জন্য সেই সমস্ত বাসগুলিকে বিভিন্ন সময়ে জরিমানা করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু জরিমানার🌸 টাকা না মিটিয়েই এখনও বহাল তবিয়তেই চলছে এই সমস্ত বাস। এই অবস্থায় জরিমানার টাকা আদায়ের উপর জোর দিয়েছে লালবাজার। সে ক্ষেত্রে কোনও বাসের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা রয়েছে এবং জরিমানা বাবদ কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা জানিয়ে দেবে ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিগন্যাল 🍎ভাঙলেই ধরে ফেলবে ক্যামের⛎া, পাটুলি ক্রসিংয়ে আসছে বিশেষ প্রযুক্তি
আগামী মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরের প্রথমে লোক আদালত বসবে। সেখানে জরিমানার বকেয়া টাকা বাস মালিকরা যাতে মিটিয়ে দিতে উদ্যোগী হন সেই বিষয়টির উপর জোর দিতে চাইছে লালবাজার। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত বাসের বিরুদ্ধে জরিমানা রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে সাইটেশনের মামলাই বেশি রয়েছে। এ বিষয়ে অতীতের তথ্য খতিয়ে দেখবে ট্রাফিক পুলিশ। এরপর সেই সমস্ত তথ্য বাসের চালকদের হাতে ধরিয়ে দেবে ট্রাফিক গার্ড। সেক্ষেত্রে বাস চালকরা মালিককে জানাতে পারবেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কাকদ্বীপ–ডায়মন্ড হারবার রুটের বাস দাঁড়িয়ে থাকা ২৩৫ নম্বর রুটের বাসকে ধাক্কা মারে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। সেই ঘটনার মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন পুলিশকর্তার। সেই ঘটনায় নথি খতিয়ে দেখতেই ট্রাফিক পুলিশ জানতে পারে ঘাতক বাসটির বꩵিরুদ্ধে আড়াইশোটিরও বেশি মামলা ছিল। কিন্তু, আইন ভাঙলেও বাসটির মালিক জরিমানা মেটাননি। তারপরেই এই বিষয়ে তৎপর হয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে বর্তমানে যতগুলি বাসের জরিমানা বাকি রয়েছে সেই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এই টাকা আদায় হলে সে ক্ষেত্রে যেমন কোষাগার ভর্তি হবে তেমনি মালিকরাও যেকোনও মামলা সম্পর্কে সচেতন হবেন। ফলে আইন ভাঙার প্রবণতাও কমবে। প্রাথমিকভাবে ট্রাফিক পুলিশের সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাস মালিক যে ট্রাফিক গার্ড এলাকায় থাকেন সেই গার্ডের তরফে জরিমানা মেটানোর জন্য জোর দেওয়া হবে। আগামী ꦐমাসে লোক আদালতে যাতে এ বিষয়ে আগ্রহী ♌হন মালিকরা সেটাই চাইছেন লালবাজারের কর্তারা। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগেও বকেয়া জরিমানা আদায় করতে লালবাজারের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে কয়েক কোটি টাকা আদায় হয়েছিল।